রবীন্দ্রনাথই যে তাঁর দেখানো ভাষা আন্দোলনের পথ প্রদর্শক, বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে রবি ঠাকুরের বোলপুর থেকে এই ভাষা আন্দোলনের ‘লড়াই’ শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস ২২ শ্রাবণে ভাষা রক্ষার শপথ নিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ইতিমধ্যে বাংলা ও বাঙালীদের উপর আক্রমণ নিয়ে সংসদে নিয়মিত বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূলের সাংসদরা। আর সেখানেও ভরসা সেই রবীন্দ্রনাথ। ” বাংলার মাটি বাংলার জল…” এই রাজ্য সঙ্গীতের সাথে সাথে রবি ঠাকুরের একাধিক গানই সংসদে তৃণমূল সাংসদদের অক্সিজেন। তবে শুধু দিল্লীতে নয়, ভাষা নিয়ে বাংলার সব আন্দোলনেও আঁকড়ে থাকা রবীন্দ্রনাথকেই। বৃহস্পতিবার এই ভাষার শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রয়াণ দিবসে এ যেন এক বাঙালি প্রশাসকের মাতৃ ভাষা রক্ষার শপথ, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “বাংলার উপর ভাষা সন্ত্রাস মানব না।” ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে আমাদের প্রাণের ঠাকুরকে জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম। বছরের প্রতিটি দিনে, প্রতিটি মূহূর্তে তিনি আমাদের ঘিরে রয়েছেন। বিশেষত, আজ শুধু বাংলা ভাষা বলার জন্য বাঙালির ওপর যখন সন্ত্রাস নেমে আসছে, তখন তিনিই আমাদের লড়াই করার প্রেরণা। রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ প্রতিভা। আজ যখন তাঁর ভাষার ওপর আক্রমণ নেমেছে, তখন আমরা দু:খিত, ব্যথিত, মর্মাহত। “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির”, সেই ভারতের নির্মাণে রবীন্দ্রনাথ-ই আমাদের ধ্রুবতারা। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন থেকে তাঁকে প্রণাম জানিয়ে, আমরা ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছি। যতদিন এই বাংলা-বিদ্বেষ চলবে – আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো। আর এই লড়াইয়ের পথে রবীন্দ্রনাথই আমাদের পথনির্দেশক। আজ আমাদের নতুন করে শপথ নেবার দিন – ‘বাংলার ওপর ভাষা সন্ত্রাস মানবো না’।” বোলপুর অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের মাটি থেকে নিজে পায়ে হেঁটে সেই আন্দোলনের সূচনা করেছেন তিনি, ঝাড়গ্রামেও একইভাবে ভাষা রক্ষার ডাক দেন তিনি।







