কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court( পর এবার বাংলাদেশ হাইকোর্টের(Bangladesh High Court) রায়ও সোনালি খাতুনদের(Sonali Khatun) দেশে ফেরানোর পক্ষেই গেল। ইতিমধ্যেই নাকি ভারতীয় হাই কমিশনকে চিঠি দিয়ে সোনালি খাতুন সহ ছজনকে দেশে ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। বেশ কয়েক মাস আগে সোনালি খাতুন(Sonali Khatun) সহ আরও ছয়জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করানোর অভিযোগ উঠেছিল। এবার তাদের ফেরানোর পক্ষেই রায় দিল বাংলাদেশ হাই কোর্টও। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূল(TMC) রাজ্যসভা সাংসদ সামিরুল ইসলাম(Samirul Islam)। দরিদ্র বাঙালিরাই যে বিজেপির নিশানায় তা বলতে দ্বিধা করেননি তিনি।
বেশ কয়েক মাস আগে সোনালি বিবি(Sonali Khatun) ও তাঁর পাঁচ বছরের শিশু সহ দানিরুল শেখ(Danirul Seikh) ও ছজনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার অভিযোগ উঠেছিল। কর্মসূত্রে বীরভূমের বাসিন্দারা ছিলেন দিল্লিতে। সেখানেই তাদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে দিল্লির রোহিনী জেলা পুলিশ। আর তাতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তাদের আটকানোর পরই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ধৃতরা।
সেই সময়ই পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছিল যে তাদের নাকি বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছে। এরপরই তাড়াহুড়ো করে পরিবারের সদস্যরা পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। যদিও তার আগেই তাদেরকে দানিরুল শেখ, সোনালি খাতুনদের তুলে দেওয়া হয়েছিল বিএসএফের হাতে। পরিবারের সদস্যরা পৌঁছলে তাদের জানানো হয় যে বিএসএফের তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে এবং পুশব্যাকও নাকি করা হয়ে গিয়েছে। এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল।
ঘটনা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। সেখানেই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে অবিলম্বে কেন্দ্র সরকারকে দানিরুল শেখ, সোনালি বিবি সহ বাকি ছজনকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এমন চার সপ্তাহ সময় সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
তারই মাঝে এবার বাংলাদেশ হাইকোর্টের তরফে চিঠি পাঠানো হল ভারতীয় হাই কমিশনকে। এরপরই সরব হয়েছেন তৃণমূলের(TMC) রাজ্যসভা সাংসদ সামিরুল ইসলাম। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, “যাদের বাংলাদেশি বলে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছিল তারা যে এদেশেরই বাসিন্দা তা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। তাদের দ্রুত দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে এবার বাংলাদেশ হাইকোর্টও। বিজেপি যে বাংলা বিরোধি তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল”।







