দার্জিলিংয়ের(Drjeeling) প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কলকাতায় সম্প্রতি বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল যাদের, সেই পরিবার গুলোকেই আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। পুজোর আগেই হঠাৎ বৃষ্টতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। আর সেখানেই তার ছিড়ে জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১১ জন। তাদের পরিবারের দিকেই এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আগামী ১৭ অক্টোবর মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং একজন সদস্যকে চাকরির নিযোগপত্র তুলে দেওয়া হবে।
এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে(North Bengal) রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যেমন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন, তেমনই মৃতদের পরিবার প্রতি একজন সদস্যকে চাকরির নিয়োগপত্র ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। দার্জিলিংয়েই বুধবার ছিল প্রশাসনিক বৈঠক। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরাট ঘোষণা।
তিনি জানিয়েছেন, “কলকাতায় একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল। সেখানে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ১০ জন সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আগামী ১৭ অক্টোবর শেকসপিয়ার সরণী চত্বরে কোনও এক মন্ডপে ওনাদের পরিবারকে ডাকা হবে। তুলে দেওয়া হবে চাকরির নিয়োগ পত্র এবং আর্থিক সাহায্য”।
মহালয়ার পরের রাতেই প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মহানগরী(Water Logged Kolkata)। ভবানীপুর, একবালপুর, পার্কসার্কাস, যাদবপুর সহ তারাতলা জলগম্ন হয়ে গিয়েছিল। আর সেই জমা জলেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২ জন। এই ঘটনার পরই সিইএসসিকে দুষেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধুমাত্র তাই নয় তাদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং মৃতদের পরিবার পিছু একজন করে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেছিলেন মমতা। এরপর পরবর্তীতে অবশ্য রাজ্য সরকারের তরফেই তাদেরকে ২ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর সিইএসসি চাকরি না দিলে, মৃতদের পরিবার পিছু একজন সদস্যকে বিশেষ হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার সেই প্রতিশ্রুতিই রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিংয়ের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কলকাতায় জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবার পিছু একজনকে চাকরি এবং আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।







