রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার শাস্তি স্বরূপ ভারতের ওপর শুল্ক আরও বাড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে আমেরিকা। বর্তমানে ভারতীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে সেটা কার্যকর হবে ৩ সপ্তাহ পর থেকে। যদিও ইতিমধ্যেই ভারত ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানো নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার তেল তো চিন সহ আরও অনেক দেশই কেনে, তাহলে শুধু ভারতের উপর কেন এই শুল্ক চাপানো হচ্ছে? এমনকী ভারত তার বিবৃতিতে এও উল্লেখ করেছে যে, আমেরিকা নিজেরাই রাশিয়ার থেকে ইউরেনিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ কেনে। তাই অহেতুক ভারতকে নিশানা করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়। আর এর জবাবে ট্রাম্প আরও সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা ভারতের উপর চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তি থমকে আছে। আমেরিকা ভারতে তাদের কৃষিপণ্য এবং দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করতে চাইছে। তবে সেই পণ্য ভারতে বিক্রি করতে দিতে নারাজ মোদী সরকার। ভারতের প্রতি আমেরিকার এই চাপ সৃষ্টি নিয়ে এমএস স্বামীনাথন শতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমাদের কাছে দেশের কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। ভারত কখনও কৃষক, জেলে এবং দুগ্ধ চাষীদের স্বার্থের সাথে আপস করবে না। আমি জানি এর জন্য আমাদের অনেক মূল্য দিতে হবে এবং আমি এর জন্য প্রস্তুত। ভারত এর জন্য প্রস্তুত…।”
ভারতীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির জেরে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়বে। এর জেরে আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা দ্রুত কমতে পারে। এরই মাঝে অবশ্য ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা জারি রয়েছে। অন্যদিকে যে ৫০ শতাংশ শুল্ক ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তা কার্যকর হবে ২৭ অগস্ট থেকে। তার আগে ২৫ অগস্ট দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনার টেবিলে বসবেন। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে। সর্বশেষ দফা আলোচনা ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হলেও তা অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আগামী ২৫ অগস্ট থেকে ভারতে ষষ্ঠ দফার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দু দেশেই বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে এই বৈঠক নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।







