একেই মনে হয় বলে রাখে হরি মারে কে? নিজের স্ত্রীর হাতেই খুন হতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়তো ভাগ্যই বাঁচিয়ে দিল রাজীবকে। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের বরেলির। একটু খোলাসা করে বলা যাক। রাজীব নামে ওই ব্যক্তি একজন চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, যে তার ঘরের ‘লক্ষী’ শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুন করতে রীতিমত পরিকল্পনা করে সমস্ত ব্যবস্থা করে রেখেছিল। সঙ্গে ছিল ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির বাড়ির লোকজনও। যদিও স্বামীকে নৃশংস ভাবে খুন করার সব পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল অচেনা এক ব্যক্তির কারণে। উত্তর প্রদেশের বরেলিতে নিজের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা রাজীবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জঙ্গল থেকে। এক অচেনা ব্যক্তি তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।ঘটনাটি ঘটেছে ইজ্জতনগর থানা এলাকার। পুলিশের অভিযোগ, ওই যুবকের স্ত্রী সাধনা এই হত্যার ছক তৈরি করেন। সাথে নেন নিজের ৪ ভাইকে, যাঁরা হলেন ভগবান দাস, প্রেমরাজ, হরিশ ও লক্ষ্মণ। অভিযোগ, ২১ জুলাই রাতে সাধনার ৪ ভাই সহ মোট ১১ জন রাজীবের বাড়িতে চড়াও হয়, রাজীবকে হাতের কাছে পেয়ে তাঁর একটি হাত ও পা ভেঙে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সামান্য মারধোর নয়, আসল পরিকল্পনা ছিল রাজীবকে জীবন্ত কবর দেওয়ার। আর সেই কারণেই রাজীবকে জোরজবস্তি করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সিবিগঞ্জ এলাকার একটি জঙ্গলে। যেখানে আগে থেকেই গর্ত খোঁড়া ছিল। কিন্তু ওই যে উপরওয়ালা চাইলে সব কিছুই সম্ভব।
ঠিক সেই মুহূর্তে এক অচেনা ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হওয়ায় তাঁকে দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। গভীর যন্ত্রণা ও হাড় ভাঙা অবস্থায় রাজীব চিৎকার করার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না। তবে ওই ব্যক্তি তাঁকে দেখতে পান ও সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। রাজীবকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাণে বেঁচে যান তিনি এবং এখন চিকিত্সাধীন রয়েছেন। রাজীবের বাবা নেতরাম তাঁর পুত্রবধূ ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর একটি মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগে তিনি বলেন, “ওরা আমার ছেলেকে খুন করতে চেয়েছিল। আর সেটা বৌমার পরিকল্পনায়।”
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে সাধনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজীব। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে—যশ (১৪) এবং লভ (৮)। দুজনেই একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। রাজীবের পৈতৃক গ্রামে একটি বাড়ি ছিল, তবে তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শহরে থাকতেন। নেতরামের দাবি, তাঁর পুত্রবধূ গ্রামে থাকতে চাইতেন না বলেই রাজীব শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।







