বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় তবে কী আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়ালে বিরক্ত হয়েই মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ? উঠছে প্রশ্ন। এর ফলে ওই ইন্সপেক্টর এবং হোমগার্ড আদৌ জামিন পাবে কিনা, তা নিয়েও তৈরি হল ধোঁয়াশা। এখন নিয়ম অনুযায়ী এই মামলা চলে যাবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। পরবর্তী শুনানি কার বেঞ্চে হবে, তা ঠিক করে দেবেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এক পুলিশকর্মী এবং এক হোমগার্ডের গ্রেফতারির ঘটনায় সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারের মধ্যে সিবিআইকে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ।কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সম্প্রতি একটি অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশকর্মী রত্না সরকার এবং হোম গার্ড দীপঙ্কর দেবনাথ। তাঁরা দু’জনেই এখন জেলবন্দি রয়েছেন। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে তাঁদের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় চান। তখন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাঁর সওয়াল জবাবে বলেন, “হঠাৎ করে চার বছর পরে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। পুলিশকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন হেফাজতে রাখতে সময় চাওয়া হচ্ছে।” দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জানায়, চার দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
সম্প্রতি ওই মামলায় ইনস্পেক্টর রত্না এবং হোমগার্ড দীপঙ্করের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। গত ১৮ জুলাই থেকে তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে নিম্ন আদালত মন্তব্য করেছিল, ‘‘রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গেলে সমাজের কী হবে?’’ পরে গত সোমবার তাঁদের জামিনের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আর শুক্রবার মামলাই ছেড়ে দিলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ।







