সোমবার এসএসসি(SSC)-র নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত মামলার ছিল শেষ শুনানি। এই মামলার রায়ের উপর নির্ভর করছে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ। এদিন রাজ্য, কমিশন এবং চাকরিপ্রার্থীদের সব বক্তব্য খুঁটিয়ে শোনে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলাকারীদের মূল অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকার ২০১৬ সালের নিয়ম বাতিল করে নতুন নিয়ম চালু করার চেষ্টা করছে, যার অর্থ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা। কেননা সুপ্রিম কোর্ট পুরনো নিয়মেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালের প্যানেল থেকেই বহু শূন্যপদ পূরণ করা সম্ভব, সেখানে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার যৌক্তিকতা কী? এছাড়াও শুনানিতে শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা এবং বয়সের ছাড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সোমবার আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, কোন বিধি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত হবে সেটা চাকরিপ্রার্থীরা ঠিক করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই ২০১৬ সালের নিয়ম মেনেই নিয়োগ করতে হবে। এটা ঠিক করার এক্তিয়ার একমাত্র কমিশনের।
অন্যদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এইসব মামলার কারণে নিয়োগ পক্রিয়াই পিছিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুনরা বঞ্চিত হচ্ছে। যদি আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য হয়ে থাকে, তাহলে এত ভয় পাচ্ছে কেন। প্রতিযোগিতায় নামুক।”
মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী গোপা বিশ্বাস বলেন, তাদের প্রধান বক্তব্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ২০১৬ সালের নিয়ম মেনেই হয়।
যদিও দিনভর শুনানি শেষে বিচারপরি সৌমেন সেন এবং স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছেন। আপাতত সকলেই তাকিয়ে আছে আদালতের রায়ের দিকেই। কেননা এই রায়ই ঠিক করে দেবে আগামী দিনে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কোন পথে এগোবে। কেননা এই রায়ের উপর নির্ভর করছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যত। মামলাকারীদের আশা, আদালত খুব শীঘ্রই রায় ঘোষণা করবে এবং রায়ের ফল তাদের পক্ষেই যাবে।







