সম্প্রতি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বারবার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর নির্দেশ দিলেও, বাস্তবে ছবিটা অন্যরকম। তৃণমূলের চরম গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি আবারও প্রকাশ্যে। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার কাউন্সিলর তথা আইএনটিটিইউসি(INTTUC)-র জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন ওই পুরসভারই ভাইস চেয়ারম্যান। বোর্ড মিটিংয়ে, রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভার পাশাপাশি ওল্ড মালদা পুরসভার চেয়ারম্যানকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই অপসারণ হয়েছে। নিজের ইস্তফা পত্র জমাও দিয়েছেন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ। এরপরই ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম একটি বোর্ড মিটিং ডাকেন। সেখানেই কার্তিক ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত পুরাতন মালদা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জেলা আইএনটিটিইউসি(INTTUC)-র সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদারের বিরুদ্ধে রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মালদা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। শাসক দলের এই গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি সামনে আসতেই তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপিও।
ভাইস চেয়ারম্যানের অভিযোগ, সম্প্রতি চেয়ারম্যান ইস্তফা দিয়েছে। তা অফিশিয়াল ভাবে জানানোর জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেখানেই এই কাউন্সিলর রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি মালদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই অভিযুক্ত কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ হালদার। তাঁর দাবি, তিনি ২০১১ সালের আগে থেকে দল করছেন। কোথাও অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যানকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ হালদার।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক। চেয়ারম্যান যখন অপসারণ হয়েছে। সেই পুরবোর্ডের কোনও গুরুত্বই নেই। সেখানে যা হবার তাই হচ্ছে। এই করতে করতে তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে।” আগামী ৩রা ডিসেম্বর মালদা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এই ছবি নিঃসন্দেহেই দুশ্চিন্তায় রাখবে তৃণমূলকে। কেননা বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আর খুব বেশি বাকি নেই।







