শান্তিনিকেতনের শিল্প, কৃষ্টি ও আদিবাসী সংস্কৃতির মেলবন্ধনে পঁচিশ বছরে পা দিল হীরালিনী দুর্গোৎসব। থিমের বাজারে প্রতিযোগিতাহীন এই পুজোর মূল লক্ষ্য শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে নতুন মাত্রা দেওয়া। এবছরের বড় আকর্ষণ কাঠের খোদাই করা নতুন দুর্গামূর্তি, যা দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছে পর্যটক ও শিল্পপ্রেমীরা।
২০০১ সালে শিল্পী বাধন দাসের হাত ধরে সূচনা হয় এই পুজোর। তাঁর অকালমৃত্যুর পর শিল্পী আশিস ঘোষ দায়িত্ব নেন এবং ফাইবার কাস্টিং, বাঁশ, লোহা ও কাঠ দিয়ে স্থায়ী মূর্তি তৈরি করে প্রতিবছর নতুন সাজে প্রতিষ্ঠা করার রীতি চালু করেন। এবারের ষষ্ঠ মূর্তি সেই ধারায় নতুন সংযোজন। বিশেষত্ব হল, মা দুর্গার হাতে নেই কোনও অস্ত্র— শান্তির প্রতীক পদ্মফুলেই শোভা পাচ্ছেন তিনি।
মহাসপ্তমী থেকে মহানবমী পর্যন্ত চলে আদিবাসী নাচ-গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে আসা শিল্পীরা ধামসা-মাদলের তালে পরিবেশন করছেন লোকগীতি ও নৃত্য। মণ্ডপ প্রাঙ্গণে বসেছে শিল্প প্রদর্শনীও।
গত বছর মহালয়ার দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। এবছর ২৫তম বর্ষে কাঠের খোদাই করা মূর্তির মাধ্যমে এই দুর্গোৎসব আরও এক অনন্য অধ্যায় রচনা করল, যা শান্তিনিকেতন ও সোনাঝুরির প্রকৃতির সঙ্গে শিল্পের মেলবন্ধনকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে।







