কলকাতার অন্যতম বড় পুজোগুলোর মধ্যে একটা দেশপ্রিয় পার্ক (Deshapriya Park)। প্রতিবারই তাদের তৈরি মণ্ডপ, প্রতিমা এবং আলোকসজ্জা নজর কাড়ে রাজ্যবাসীর। এবারেও উৎসবের আবহে সেজে উঠেছে দেশপ্রিয় পার্ক (Deshapriya Park)। কিন্তু হঠাৎই তাল কাটল চতুর্থীর সন্ধ্যায়। সাময়িক ভাবে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দিতে হল পুজো মণ্ডপ (Puja Pandal)।
কলকাতার অন্যান্য পুজো মণ্ডপের মতো দেশপ্রিয় পার্কেও শুক্রবার দুপুর থেকেই মানুষের ঢল নেমেছিল। সন্ধে গড়াতেই বাড়তে থাকে ভিড়ও। তখনই মণ্ডপের প্রবেশ পথের একাংশে ফাটল নজরে আসে পুজো উদ্যোক্তাদের। বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াতে তড়িঘড়ি পুজো মণ্ডপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন দেশপ্রিয় পার্ক পুজো কমিটি (Deshapriya Park Puja Pandal)।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে সবচেয়ে উঁচু দুর্গা করে শিরোনামে উঠে এসেছিল দেশপ্রিয় পার্ক (Deshapriya Park)। কিন্তু সে বছর মানুষের বিপুল চাপে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দিতে হয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এদিন তড়িঘড়ি মণ্ডপ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন পুজো কমিটি। কিন্তু পুজো উদ্যোক্তাদের সাময়িক মণ্ডপ বন্ধের ঘোষণা সত্ত্বেও মণ্ডপের বাইরে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এমনকীতেই গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহরের একাধিক জায়গা। আবার পুজোর মধ্যে নিম্নচাপের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে মানুষ চাইছে দুর্যোগের আগেই ঠাকুর দেখে নিতে। স্বাভাবিক ভাবেই শহরের সর্বত্রই উপচে পড়ছে সাধারণ মানুষের ভিড়। তারই মধ্যে দেশপ্রিয় পার্কের এই ঘটনা কিছুটা হলেও দর্শনার্থীদের উৎসাহে জল ঢেলেছে।
তবে দেশপ্রিয় পার্ক পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই মেরামত কাজ শেষ করে মণ্ডপ সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তাদের আরও দাবি, দেশপ্রিয় পার্ক শুধু কলকাতা নয়, গোটা বাংলার মানুষের কাছেই সমান জনপ্রিয়। তাই দর্শনার্থীরা ঠাকুর দেখতে এসে যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনার কবলে না পড়েন, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে আজ, অর্থাৎ পঞ্চমীর রাত থেকেই দেশপ্রিয় পার্কের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। সব মিলিয়ে আজ থেকে কলকাতার অন্য সব পুজোর মতো দেশপ্রিয় পার্কের মণ্ডপ পরিদর্শনেরও স্বাদ নিতে পারবে শহরবাসী। তবে দুর্যোগের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে এখন থেকেই ঠাকুর দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছে তা রীতিমত চোখে পড়ার মতো। আপাতত সব ভুলে উৎসবের মেজাজে ভাসছে বাংলা।







