বাংলা ও বাঙালি(Bengali) ইস্যু নিয়ে এখন সরগরম বাংলার রাজনীতি। বিজেপি(BJP) শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষা বলার অপরাধে বারবার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের ছবি দেখা যাচ্ছে। তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল(TMC) সরকার। এবার পুজোর আগেই আরও বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। কলকাতার দোকানপাট সহ প্রতিটি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড এবার বাংলাতে করার নির্দেশ দেওয়া হল কলকাতা পুরসভার(Kolkata Corporation) তরফে। সেই নির্দেশ না মানলে লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে বাংলা ও বাঙালি নিয়ে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে পৌঁছেছে। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে যেভাবে বাঙালি পরিযায়ি শ্রমিকরা হেনস্থা হচ্ছে, তাতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে সরকার। বাংলা ও বাঙালির অত্যাচারের বিরুদ্ধে আগেই তৃণমূল(TMC) নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। চলছে দিকে দিকে প্রতিবাদ সভাও। এরই মাঝে পুরসভার তরফে এই নতুন নির্দেশিকা রাজনৈতিক তর্জাটা যে আরও বেশ বাড়িয়ে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) জানিয়েছেন, “যে সকল ব্যবসায়ীরা বাংলায় হোর্ডিং ব্যবহার করার কথা মানবেন না তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। দুর্গা পুজোর সময় ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত থাকবেন এবং সেই সময় চাপ থাকবে। তাই কালী পুজোর পরই আমরা পরিদর্শনে বেড়োব”।
দুর্গা পুজোর সময় ব্যবসায়ীদের অতরিক্ত চাপ থাকবে বলেই সেই সময় আলাদা করে কোনওরকম পরিদর্শন করা হবে না। তবে কালী পুজো মিটে গেলেই এরপর পুরসভার(Kolkata Corporation) গঠিত দল পরিদর্শনে বেড়োবে। সেখানেই কোনও দোকান বা ব্যবসায়িং সংস্থায় যদি বাংলায় হোর্ডিং না থাকে তাহলে বড়সড় পদক্ষেপ নেবে তারা।
ইতিমধ্যেই পরিদর্শনের জন্য নাকি একটি বিশেষ দলও গঠিত হয়ে গিয়েছে। কালী পুজো মিটলেই শুরু হয়ে যাবে কাজ। একইসঙ্গে এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে বোর্ডের একেবারে শীর্ষে এবং প্রধান স্থানেই বাংলায় নাম ব্যবহার করতে হবে।







