বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গড় হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল আশানুরূপ হয়নি। ৬টার মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি আসনের সবকটিতেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে নাকি জেলা নেতৃত্বকে পুরনো ফল পর্যালোচনা করে খামতি পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখন থেকেই ২৬শের নির্বাচনকে পাখির চোখ করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। সেইমতো প্রস্তুতিও জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে। জেলার সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহেই নিয়ম করে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের নির্বাচনের রণকৌশল তৈরির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো এবং দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে নির্মূল করার দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কাছে রীতিমত প্রেস্টিজ ফাইট বলা যায়। কেননা এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই জিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাই এই জেলাতে হারানো জমি ফেরত পেতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ৬টি আসনের ৬টিতেই জয়ের বার্তাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দেখছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তৃণমূলের হাইকমান্ডের তরফে নির্দেশ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা নেতৃত্বও। কেননা এই অভিষেকের নির্দেশ মেনে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে যে কড়া টক্কর দিতে হবে বিজেপিকে সেকথাও স্বীকারও করেছেন তৃণমূল মন্ত্রী তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়ক বিপ্লব মিত্র। তাঁরা যে প্রস্তুতিতে কোনও ধরনের খামতি রাখতে চাইছেন না, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। এখন দেখার ২৬শে নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরে আবারও ঘাসফুল ফোটে কিনা।







