পুজোর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও সক্রিয় হতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সপ্তাহের প্রথম দিন, অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকে বাড়ল ইডি তৎপরতা। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম সহ রাজ্যের অন্তত চার জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং তাঁর পিসি তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও সাতসকালেই হানা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দি গ্রামের বাড়িটি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর।
এমনকী বিধায়কের বাড়ির অদূরে মহিষ গ্রামের বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মী রাজেশ ঘোষের বাড়িতেও হানা দেয় ইডির আরেকটি দল। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ নয় সোমবার তল্লাশি অভিযান চলে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও। সেখানে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও যান ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া রাজ্যের আরও দুই জায়গায় চলছে ইডির অভিযান। এই অভিযানে ইডির সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর ১৩ মাস পর তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন। এরপর আবারও ইডির এই তল্লাশি। সব মিলিয়ে অস্বস্তি বাড়ল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। আসলে ২৬শে বঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে এভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো সক্রিয় করে শাসক দলকে চাপে রাখার এটা একটা কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও এর আগেও বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগে একাধিকবার সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলো। এ রাজ্যেও নির্বাচনের আগে সিবিআই ও ইডির অতি সক্রিয়তা সেই অভিযানকেই যেন মান্যতা দিল। পাশাপাশি বাংলায় নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ততই এজেন্সিগুলোর সক্রিয়তা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।







