শুক্রবার বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। পাশাপাশি এদিন দমদমে রাজনৈতিক সভা করার কথা মোদীর। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সহ বিজেপির একাধিক রাজ্য নেতারা। এই অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ আগেই পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই ধোঁয়াশা ছিল। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় পা রাখার আগেই এই মেট্রো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্ব তুলে ধরে এক্স-হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের প্ল্যানিং থেকে শুরু করে জমি দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উল্লেখ করে লেখেন, “ভারতের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি কলকাতায় একাধিক মেট্রো রেলওয়ে করিডোরের পরিকল্পনা এবং অনুমোদনের ব্যবস্থা করেছিলাম। এই প্রকল্পগুলির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে তহবিলের ব্যবস্থা করেছি, কাজ শুরু করেছি এবং নিশ্চিত করেছি যে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত (জোকা, গড়িয়া, বিমানবন্দর, সেক্টর ফাইভ ইত্যাদি) একটি ইন্ট্রা-সিটি মেট্রো গ্রিডের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে।” ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শরিক থাকাকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মেট্রো রুটের পরিকল্পনা যে তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত সেকথার উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “রাজ্য সরকারের তরফে জমি, পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের সরকারের সচিবরা ধারাবাহিকভাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করেছেন।”
সামনেই ২৬শে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে রাজ্যে বিজেপিকে যে এক ইঞ্চিও জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নন তিনি, তা সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান থেকেই স্পষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো ভাবেই জানেন, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মেট্রো রেলের কৃতিত্ব দেখিয়ে রাজ্য বিজেপি তাদের পালে হাওয়া তুলতে চাইবে। তাই আগে থেকেই রাজ্যবাসীর কাছে বার্তা পাঠিয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে করে এই প্রকল্পগুলিতে ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি না হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। সব মিলিয়ে জনমত গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কূটনৈতিক চালকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।







