আগামী ২২ আগস্ট বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওইদিন নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নতুন মেট্রো রেলের উদ্বোধন করবেন তিনি। এমনকী ওই দিন দমদমে সভা করার কথাও মোদীর। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এবারও প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ পেলেন না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ। এর আগেও দুর্গাপুরে মোদীর সভায় ডাক পাননি তিনি। বরং সে সময় তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। একনকী সেই বৈঠকে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলা নিয়ে নাকি দিলীপ ঘোষকে রীতিমত ভর্ৎসনা করেছিলেন নাড্ডা।
সুকান্ত মজুমদার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন দলে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। একনকী একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সে নিয়ে ক্ষোভও উগরে দেন তিনি। তবে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন ছবিটা হয়তো বদলাবে। দিলীপ ঘোষকে হয়তো আবারও স্বমহিমায় দেখা যাবে। এমনকী রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের একান্ত বৈঠক অত্যন্ত সেই বার্তাই দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে ছবিটা যে বদলায়নি, তা মোদীর দমদমের সভায় দিলীপ ঘোষের আমন্ত্রণ না পাওয়ায় আরও স্পষ্ট হল।
দমদমে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দিলীপ ঘোষ উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে নিজেই স্পষ্ট করে দিলেন সবটা। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই ওইদিন আমি যেতেও পারি, আবার নাও যেতে পারি। আমি কোথায় যাব সেটা আমিই ঠিক করি, তাই আমিই ঠিক করব আমি ওইদিন যাব কী না।” যদিও পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, তিনি দলের একজন অনুগত সৈনিক। দল যেমন নির্দেশ তাঁকে দেবেন, তিনি সেই মতো তা পালন করবেন। সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষ যে দলের অন্দরে এখনও কোণঠাসা তা তিনি মুখে না বললেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।







