রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বাদুড়িয়া ব্লকের শায়েস্তানগর ২ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত গন্ধর্বপুর এলাকায়।বিথীকা দাস নামে এক মহিলার লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা ৪৬ মাস ধরে ঢুকছে দেবাশীষ বাছার নামে এক পুরুষের একাউন্টে। আর সেই ব্যক্তি দিব্যি টাকা তুলেও নিচ্ছেন। বিথীকা দাস নামে এক মহিলা যার বাড়ি বাদুড়িয়া ব্লকের শায়েস্তানগর ২ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত গন্ধর্বপুর এলাকায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তিনি তাঁর নাম নথিভুক্ত করেন। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাস কেটে গেলেও তিনি টাকা পাচ্ছেন না। এভাবে কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরে তিনি বাদুড়িয়া বিডিও অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেন এবং তখন দেখেন যে তার নাম লক্ষী ভাণ্ডারে উঠে আছে এবং তার নামে প্রতিমাসে টাকাও ঢুকছে। তিনি তখন জানতে পারেন তাঁর নামে বরাদ্দ হওয়া টাকা ঢুকছে দেবাশীষ বাছার নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে।
শুধুমাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটা সংখ্যার ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে। বিথীকা দাসের অ্যাকাউন্টের শেষে ৫ কিন্তু ভুলবশত অ্যাকাউন্টের শেষে সংখ্যা দেওয়া রয়েছে ৬। আর এই নিয়েই যত সমস্যা। এই অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাশের গ্রামের দেবাশীষ বাছার নামে এক ব্যক্তির। মহিলা টাকা প্রতি মাসে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে। আর ওই ব্যক্তি চুপচাপ সেই টাকা তুলেও নিচ্ছেন ব্যাংকে থেকে।
বিথীকা দাস জানার পর বিডিও অফিসে দুবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। এমনকি দীপিকা দাসের মৃত্যু হয়েছে গত জুন মাসে। তারপরেও তাঁর লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে দেবাশীষ বাছারের অ্যাকাউন্টে। আর সেই মৃত মানুষের টাকাও তুলে নিলেন দেবাশীষ বাবু।
মৃত বিথীকা দাসের স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রীর প্রাপ্য টাকা তাঁকে দেওয়া হোক এবং তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে যে টাকা ঢুকেছে সেই টাকা সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই দেবাশীষ বাছার সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রথমে পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করলেও অবশেষে স্বীকার করেন যে, তিনি ফাল্গুন মাসে টাকা ফিরিয়ে দেবেন।
আর এই বিষয়ে বাদুড়িয়ার ব্লক আধিকারিক পার্থ হাজরা জানান, তাঁর এই ব্যাপারে কিছু জানা নেই, তিনি সংবাদমাধ্যমের মারফত পুরো ঘটনাটি শুনলেন। এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন। এখন দেখার এই সমস্যার আদৌ কোনও সমাধান হয় কী না।







