ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি যে তাঁর মধ্যস্থতাতেই হয়েছে তা নিয়ে এর আগেও একাধিক বার সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকে রীতিমত বিবৃতি দিয়ে সেই দাবিকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছিল পাকিস্তানের তরফ থেকে যুদ্ধ বিরতি চেয়ে ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে যায়। ভারত অন্য কারও চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির পরেই শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের তরফ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করা হয়। এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকেও উঠে আসলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রসঙ্গ। গত সপ্তাহেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় একান্ত বৈঠক সারেন ট্রাম্প। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উভয় তরফ থেকেই দাবি করা হয়েছিল। সেই আবহে এবার জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
এই বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে। এটা কখন থামবে তা আমি বলতে পারব না। তবে জেলেনস্কি এবং ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধ থামাতে চান। আমি ভেবেছিলাম, এই যুদ্ধ থামানো সবচেয়ে সহজ হবে। তবে এটাই সবচেয়ে কঠিন। এর অনেকগুলি কারণ আছে। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন কথা হবে। যেমন ভারত-পাক নিয়ে কথা হবে। আমরা এখানে বড় বড় জায়গা নিয়ে কথা বলছি।”
এমনকী তিনি যে শান্তির দূত হিসাবে এখনও পর্যন্ত ৬টি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ থামিয়েছেন তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। ট্রাম্প বলেন, “আফ্রিকাতেও আমরা যুদ্ধ থামিয়েছি। রাওয়ান্ডা এবং কঙ্গোর যুদ্ধ দেখুন। ৩১ বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলে আসছিল। আমরা এখনও পর্যন্ত ৬টি যুদ্ধ থামিয়েছি। আমরা ইরানের পরমাণু বোমা বানানোর ক্ষমতা নষ্ট করে দিয়েছি। আর আমার মনে হয় এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও আমরা থামিয়ে দেব। আমি এই যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।” এভাবেই এদিন বৈঠক শেষে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের উপর সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য শুল্ক ৫০ শতাংশ করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তার পরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোনও চাপের কাছেই ভারত মাথা নত করবে না। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হবে।







