স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR) নিয়ে আবারও সরব হলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এসআইআর নিয়ে আবারও বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক। তাঁর মতে, বিজেপি বা এনডিএ সরকারের লক্ষ্য যদি ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়াই হয়, তা হলে সবার আগে লোকসভা ভেঙে দেওয়া উচিত। তার পরে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, কেরালা সর্বত্র এসআইআর হোক। যে সব রাজ্যে বিজেপির সরকার, সেই সব রাজ্য বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বাংলায় এসআইআর হলে, তৃণমূল তা কোনও ভাবেই মেনে নেবে না। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, “বিজেপি নেতাদের বলব, আপনারা শুরু করুন। তৃণমূলের যত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন বা বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির সব সাংসদ পদত্যাগ করবেন। লোকসভা ভেঙে দিন। তারপর আপনারা এসআইআর করুন। লোকসভা ভেঙে দিয়ে সারা দেশে এসআইআর হোক।”
পাশাপাশি বিজেপি যে ইচ্ছাকৃত ভাবে এসআইআর-এর নাম করে বাংলায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে, সেই দাবি তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি জানান, “আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, আপনার ভোটার লিস্টে গরমিল নেই। অথচ আমি নির্বাচিত হয়েছি, আমার ভোটার লিস্টে গরমিল রয়েছে, এটা তো হতে পারে না। এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না। বাংলার একজন যোগ্য ভোটারও যদি বাদ পড়েন, তা হলে এক লক্ষ মানুষ নিয়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা হবে।”
এদিন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের ভূমিকা নিয়েও সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি বলেন, “তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে কমিশন ঠিক বলছে, ভোটার লিস্টে গরমিল আছে, তা হলে তো রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা উচিত। এফআইআর করা উচিত তাঁর বিরুদ্ধে। কারণ তাঁর নজরদারিতেই তো এক বছর আগে লোকসভা ভোট হয়েছিল। অভিষেকের মতে গত বছর যে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাংসদরা নির্বাচিত হয়েছেন, সেই ভোটার তালিকা নিয়ে যদি নির্বাচন কমিশন প্রশ্ন তোলে, তা হলে গত বছরের লোকসভা ভোটও স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই অবস্থায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন করতে হলে, আগে নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তার পরে নতুন করে ভোট হবে। সদ্য লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরেই সংসদে এবং সংসদের বাইরে যেভাবে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল সাংসদরা, তাতে করে এটা স্পষ্ট যে, ২৬শে ভোটের আগে বিজেপিকে এই ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস।







