নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণে হাতিয়ার রবীন্দ্রনাথ। কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে আমাদের প্রাণের ঠাকুরকে জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম। বছরের প্রতিটি দিনে, প্রতিটি মূহূর্তে তিনি আমাদের ঘিরে রয়েছেন। বিশেষত, আজ শুধু বাংলা ভাষা বলার জন্য বাঙালির উপর যখন সন্ত্রাস নেমে আসছে, তখন তিনিই আমাদের লড়াই করার প্রেরণা।’’
মূলত: রবি ঠাকুরকে আঁকড়ে ধরেই যে ভাষার আন্দোলন শুরু করেছেন তা মনে করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ প্রতিভা। আজ যখন তাঁর ভাষার ওপর আক্রমণ নেমেছে, তখন আমরা দুঃখিত, ব্যথিত, মর্মাহত। চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, সেই ভারতের নির্মাণে রবীন্দ্রনাথ-ই আমাদের ধ্রুবতারা। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন থেকে তাঁকে প্রণাম জানিয়ে, আমরা ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছি। যতদিন এই বাংলা-বিদ্বেষ চলবে – আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো। আর এই লড়াইয়ের পথে রবীন্দ্রনাথই আমাদের পথনির্দেশক।আজ আমাদের নতুন করে শপথ নেবার দিন – বাংলার উপর ভাষা সন্ত্রাস মানব না ৷’’ শুক্রবার ফের নাম না করে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরণে আমার প্রণতি জানাই। প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ তিনি আমাদের অন্তরে থাকেন। তিনি আমাদের প্রাণের কবি – আজ, শুক্রবার তাঁকে বিশেষভাবে অন্তরে আহ্বান করি। তিনি আমাদের অভিভাবক, তিনি আমাদের ধ্রুবতারা। ঝাড়গ্রামে আমাদের সরকারি কর্মসূচি ছিল। সেখানে সর্বসমক্ষে অনেক মনীষীকে একত্র শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ ছিল। বিশ্বকবিকে সেই অবকাশে প্রণাম জানাই। সেই অনুষ্ঠানের আগে প্রকাশ্যে সমাজমাধ্যমেও তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিই। রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী। তাঁর স্মরণে প্রতিদিন-ই পুণ্যদিন। কবিকে স্মরণ করি ও তাঁকে উদযাপন করি বছরভর এবং দিবারাত্র। জাগরিত হোক সেই দেশ, যেখানে রবীন্দ্রনাথের ভাষা, বাংলা ভাষা, সম্মান পায়, মর্যাদা পায় ও সকল দেশবাসীর ভালবাসা পায়। বিকশিত হোক সেই দেশ, যে দেশে ভাষা-সন্ত্রাস থাকবে না।’’







