একদিকে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, অপরদিকে সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে খুন করার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার কোচবিহারে এসপি অফিস অভিযানে যোগ দিতে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাগডোগরা থেকে সরাসরি গাড়িতে কোচবিহার যাওয়ার পথে একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। তবে অশান্তি শুরু হয় বিরোধী দলনেতার কনভয় খাগড়াবাড়ি পৌঁছতে। হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। দেখানো হয় কালো পতাকা। পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, ভাঙে কাচ। এরপরই সরাসরি জেলা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে শুভেন্দু বলেন, “আমাকে মেরে ফেলার জন্য এগুলো করা হয়েছে। সবটাই হয়েছে পুলিশের সামনে। আসলে পুলিশ বিরোধী দলনেতাকে খুন করতে চেয়েছিল। আমাকে খুন করতে চাওয়ার পরোক্ষ আসামি এই জেলার পুলিশ সুপার।” তবে শুধু কোচবিহার জেলা পুলিশ নয়, গোটা ঘটনায় কোচবিহার জেলার দিনহাটার বিধায়ক এবং রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদায়ন গুহকেও কার্যত খুনী বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “খুনের মামলার প্রত্যক্ষ আসামি উদয়ন গুহ। এই ঘটনা প্রমাণিত যে আমাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে উদয়ন গুহ। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা নিয়ে এসে আমাকে খুন করতে চেয়েছে।” অভিযোগ, পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, ভাঙে কাচ। গোটা ঘটনার পিছনে নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদককে দায়ী করে শুভেন্দু বলেন, “আসলে ভাইপোর নির্দেশে এই কাজটা করানো হয়েছে।” তবে এই আক্রমণের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তা স্পষ্ট করে দিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, “আর যদি পুলিশের গাড়িতে না থাকতাম তাহলে আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হত না আমাকে দেখতে মর্গ যেতে হত।”







