ভোটের ঢাকে কাঠি বাজিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৬-কে সামনে রেখে জোরকদমে ভোটের ময়দানে রাজ্যের শাসক দল। একাধিক ইস্যুতে, বিশেষ করে এসআইআর বা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের ঘটনা সহ একাধিক ইস্যুতে ইতিমধ্যে ময়দানে রাজ্যের শাসক দল। আরও ভালো করে বললে ভোটের ক্রিজে এখন থেকেই হাফ সেঞ্চুরি করার পথে জোড়া ফুল শিবির। সোমবার
নির্বাচনী প্রস্তুতিতে জেলা ধরে ধরে বৈঠক শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটে বৈঠক করেন তিনি। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই দুই জেলা নিয়ে বৈঠক হয়। তবে নির্বাচনের আগে যে কোনোভাবেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রেয়াত করা হবে না এই দুই জেলার নেতৃত্বকে রীতিমত বুঝিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনে যে রাজ্যের শাসক দল ‘অল-আউট’ খেলতে নামবে সেই বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, “সবাইকে সবার সাথে চলতে হবে। কোনও ভাবে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রাখবেন না। এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছাড়া হবে না।” ২০২১-এর বিধানসভা ও ২০১৯ সালের লোকসভায় উত্তরবঙ্গ জুড়ে রীতিমত লজ্জাজনক ফলাফল হয় তৃণমূলের, যার মধ্যে অন্যতম ছিল এই দুই জেলাও। তবে ২০২৪-এর লোকসভায় কিছুটা হলেও মান রক্ষা হয় কোচবিহারে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে কোচবিহার জেলা নেতৃত্বকে অভিষেকের নির্দেশ, ‘‘কোচবিহারে লোকসভার ফল ধরে রাখতেই হবে। ব্লক ভিত্তিক প্রচারে আরও বেশি করে জোর দিতে হবে।” অসম সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এই বাংলা ভাষা নিয়ে আন্দোলনকে আরও সক্রিয় করতে হবে বলে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “অসম সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলা ভাষা আন্দোলনে আরও জোর দিতে হবে।” জেলার বাইরে বা নিজের এলাকার বাইরে আর সময় কাটানো বা সংগঠন নয়, নেতাদের এবার থেকে নিজের এলাকাতেই সব জায়গায় প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করতে হবে বলেও বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, “নিজের এলাকায় বেশি করে সময় দাও। যত বেশি সম্ভব এলাকায় সময় কাটান। পাড়ায় উপস্থিত থেকে বুঝবেন মানুষ কী চাইছে। সেই অসুবিধা দূর করতে হবে।’’ সোমবার থেকে জেলাওয়াড়ি বৈঠক শুরু করেছেন অভিষেক।
বুধবার বৈঠক হবে মালদহ ও জলপাইগুড়ির। বৃহস্পতিবার বৈঠক হবে দক্ষিণ দিনাজপুর ও জঙ্গিপুর নিয়ে। এরপরেই ১১ অগাস্ট বৈঠক হবে উত্তর দিনাজপুর জেলা নিয়ে। বৈঠকে থাকবেন জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, যুব সভাপতি, সকল বিধায়ক ও সাংসদরা। আগামিকাল জেলার ১৯ জায়গায় প্রতিবাদ সভা হবে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহ থেকেই জেলা ও ব্লক স্তরে সংগঠন পদাধিকারীদের নাম প্রকাশ হবে। জনসংযোগে দক্ষ এমন নেতাদের সামনে রেখেই এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি সামনে রেখে এই প্রক্রিয়া এগোতে পারে। সমস্ত জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ৫ তারিখের বৈঠকে প্রায় ৯ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।







