ফের ভিন রাজ্যে, বিশেষ করে সেই বিজেপি শাসিত রাজ্যে। আর এবার হরিয়ানায়। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ বলে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা ও অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। তবে এবার এই বাঙালি নির্যাতনের প্রমাণ এল কাগজে-কলমে। হরিয়ানা থেকে শ্রমিকের পরিচয় জানতে চেয়ে এবার রাজ্য পুলিশের কাছে চিঠি আসার খবর পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিজের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি প্রশ্ন করেন, “ভাষা-সন্ত্রাস বন্ধ হবে, কি হবে না?” সেইসঙ্গে তার স্পষ্ট হুশিয়ারি, “মনে রাখবেন এই অত্যাচার বাংলা সহ্য করবে না।” তাঁর আরো অভিযোগ, বৈধ নথি দেখানো সত্ত্বেও গুরগাঁওয়ে কাজ করতে যাওয়া কোচবিহারের শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটকে রাখা হয়েছে, পাঠানো হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে। এখানেই শেষ নয়, এই শ্রমিকের উপর অত্যাচার যে করা হয়েছে, সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর সেটা দেখেই এদিন গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “এ ধরনের ঘটনা বিভিন্ন রাজ্যে বেড়েই চলেছে। রাজস্থানেও অবৈধ সন্দেহে বাংলার বাসিন্দাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। যদিও সকলের কাছেই যথাযথ নথি রয়েছে। আমাদের আধিকারিকরা সেসব নথি পাঠিয়েছেন। দরিদ্র শ্রমিকরাই এমন অত্যাচারের স্বীকার।’
মুখ্যমন্ত্রীর এদিন আরও বলেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকার অর্থাৎ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই এমন ঘটনা বেশি ঘটছে, তাতে আমি নিজেই আতঙ্কিত। আপনারা কী প্রমাণ করতে চাইছেন? এসব ভয়ংকর সন্ত্রাস। আমরা কিন্তু সহ্য করব না। এই ভাষা-সন্ত্রাস বন্ধ করুন। ভাষা-সন্ত্রাস বন্ধ হবে, কি হবে না?”







