এসআইআরের ফলে বিহারে বাদ পড়েছেন রাজ্যের ৫৭ লক্ষ ভোটার। নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলেছে আধার নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ নয়। এ নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ আধার নিয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাজ সুস্থ নির্বাচন করানো। এসব আধার কার্ড এখন পয়সা দিলেই পাওয়া যায়। বাড়ির কুকুরেরও আধার কার্ড করা সম্ভব। এসব পরিচয়পত্র হিসেবে ধরা হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে রাস্তায় বস্তা বস্তা ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।”
রাজ্যে রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তা নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “মুর্শিদাবাদের নাম করে যারা যাচ্ছে তারা বেশিরভাগ বাংলাদেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশি আর বাঙালি বা বাংলাভাষী গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা ডিমান্ড করব বিহারে যেভাবে ভোটার লিস্ট সংশোধন হচ্ছে, বাংলাতেও নির্বাচনের আগে সেটাই করা উচিত। না হলে পশ্চিমবঙ্গে ফেয়ার ইলেকশন হবে না।”
বর্তমান ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর নতুন রাজনৈতিক দল খুলে ২০২৬-এর বিধানসভায় ৫০ আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছেন, এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওনাকে কেউ কোনোদিন ধরে রাখতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গে যত দল সব করা হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন দল করার দরকার। এটা শুধু উনার ইচ্ছা নয়, তৃণমূলও চাইত। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি যা হচ্ছে, ২৬-এর নির্বাচনে যদি কোনও মুসলিম উপমুখ্যমন্ত্রী হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নতুন কোনও দলের যে কথা উঠছে ১০০টা মুসলিম সিট জেতার মতো পরিস্থিতি আছে। নতুন দল হবে মুসলিমদের। তারা দাবি করবে উপমুখ্যমন্ত্রী চাই তাদের। পরের বার বলবে যে মুখ্যমন্ত্রী করবে মুসলিমকে, তাকে আমরা সাপোর্ট করব। মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন।”







