গত ১৬ জুলাই বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের নিগৃহীত করার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন ডোরিনা ক্রসিংয়ের সভা থেকে বিজেপি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী হুংকার দিয়েছিলেন, “সাহস থাকে তো আমাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠান। আমাকে গ্রেফতার করুন।” এমনকী ওই সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি সুর চড়িয়ে ‘ইন্ডিয়া'(INDIA) জোটের হয়েও সুপারিশ করতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তারই পাল্টা হিসাবে আজ পশ্চিমবঙ্গে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুরে জনসভা করবেন তিনি। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বঙ্গ বিজেপির নেতা ও সমর্থকদের মধ্যে সাজো সাজো রব। সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে সরগরম ইস্পাতনগরী। এই সভা থেকে যে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের রণকৌশল সাজাবেন নরেন্দ্র মোদী । আর তাই তাঁর আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য যে হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বলাই বাহুল্য। এমনকী বঙ্গে পা রাখার আগেই নিজের এক্স-হ্যান্ডেলে যেন সেই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরেই দুর্গাপুরে প্রকাশ্য জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদীর এই জনসভা ঘিরে রীতিমতো চনমনে গেরুয়া শিবির। দুর্গাপুরের সভার আগেই নিজের সোস্যাল সাইটে তৃণমূলকে কার্যত তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। শাসকদলকে তুলোধনা করার পাশাপাশি তাঁর সভায় যোগদানেরও আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ অনেক আশা নিয়ে বিজেপি-র দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। ১৮ জুলাই, দুর্গাপুরে একটি জনসভায় ভাষণ দেব। যোগদান করুন!”
এর থেকেই আন্দাজ করা যায়, শুক্রবার কার্যত তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কতটা সুর চড়াবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।







