পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যাতে করে ময়মনসিংহে অবস্থিত কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি না ভাঙা হয়। অবশেষে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বাংলাদেশ সরকার। এর আগে জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন শিশু অ্যাকাডেমি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকার।
এই আবহে গত মঙ্গলবার ভারত সরকার জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি মেরামত ও পুনর্নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি এমনিতেই বহুকাল ধরে অযত্নে অবহেলায় ভগ্নদশায় কোনওমতে দাঁড়িয়ে ছিল। এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, ‘বাংলা সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক ভবনটির ঐতিহাসিক মর্যাদা বিবেচনা করে, ধ্বংসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা ভালো এবং এটিকে সাহিত্যের মিউজিয়াম এবং ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা যায় কিনা তার জন্য এর মেরামত ও পুনর্নির্মাণের বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখা হোক। ভারত সরকার এই উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’
দিল্লির এই কড়া বার্তার পরই সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি-বিজড়িত এই বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। শোনা যাচ্ছে, বাড়িটি কীভাবে পুনর্নির্মাণ করা যায় তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে প্রথম সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজের সোস্যাল সাইটে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বাড়িটি মাহাত্ম্য তুলে ধরেন। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে এবং দিল্লির চাপে পিছু হটল ইউনূস সরকার।







