১৪ জুলাই, ২০২৫: খোদ মন্ত্রীর গড়ে এবার তৃণমূলের ভরা সভায় মঞ্চে গরহাজির জেলা পরিষদ সদস্যের অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি হল জল্পনা। গত রবিবার বিকেলে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয় ময়দানে ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে তৃণমূলের কিষাণ খেত মজদুর ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন ছিল। সেখানে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চেয়ারপার্সন জয়া দত্ত, জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর সহ জেলার তৃণমূলের শাখা সংগঠনের প্রায় সব নেতারা উপস্থিত থাকলেও, এদিন সভায় ছিলেন না এলাকার দাপুটে জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। তবে শুধু বুলবুলই নয়, এদিন মঞ্চে দেখা যায়নি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (এ) ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (বি) ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুনকে। অনুপস্থিত ছিলেন যুবর ব্লক সভাপতি পূজন দাস, শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি সাহেব দাস।
এই সম্মেলনের মূল আহ্বায়ক ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমূল হোসেন। বেশ কিছু দিন ধরেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে আসছিল। শাসক দলের অন্দরে বিধানসভার টিকিট নিয়ে কার্যত দূরত্ব বাড়ছে জুজুধান দুই পক্ষের। যদিও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ দুই পক্ষই। রাজনৈতিক মহলের মতে পঞ্চায়েত এবং লোকসভার খারাপ ফলাফলের কারণে মন্ত্রীর উপর আস্থা হারাচ্ছিল দলের একাংশ। যার কারণে বিধানসভার টিকিট নিয়ে বাড়ছিল দুই পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত। আর এদিন বুলবুলের অনুপস্থিতি সেই সংঘাতের জল্পনাকেই যেন আরো উস্কে দিল।
যদিও এই অনুপস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী তাজমূলের দাবি, তিনি সকলকে ফোন করে আসতে বলেছেন। কিন্তু কেউ ব্যক্তিগত কাজের জন্য না আসতে পারলে সে দায় তার নয়। অন্যদিকে বুলবুলের দাবি, তিনি বাইরে ছিলেন বলে আসেননি। কিন্তু দলকে যা জানানোর তিনি জানিয়েছেন।
সমগ্র ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। তাদের দাবি, এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। যে দলে একপক্ষ আরেক পক্ষকে খুন করছে, সেই দলে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিধানসভার প্রাক্কালে দলের অন্দরের এই কলহ যে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।







