দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্র গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি লাগাতার অভিযোগ করে গেছেন, তৃণমূলের ছাত্র ও যুব নেতারা তাঁর এআই(AI) নির্মিত ন্যুড ছবি হোওয়্যাটএপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তবে তিনি নির্দিষ্ট ভাবে কারও নাম নেননি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
যদিও তৃণমূলের তরফে রাজন্যার এই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে তেমন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূলের তরফে মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের কন্যা প্রিয়দর্শিনী ঘোষই একমাত্র এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিলেন, “এই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে রাজন্যা এতদিন কিছু বলেননি কেন? কেনই বা তিনি পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জানাননি? তাহলে কি ফুটেজ খাওয়ার জন্যই তিনি মিডিয়ার সামনে এ সব বলে বেড়াচ্ছেন।”
অবশেষে পুলিশের দারস্থ হলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। শনিবার সোনারপুর থানায় ইমেলের মাধ্যমে এবং কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজন্যা। অভিযোগপত্রের সঙ্গে তিনি ওই বিতর্কিত ছবিগুলির কপিও সংযুক্ত করেছেন।
রাজন্যার দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই ‘বিকৃত’ ছবি ছড়ানো হয়েছে। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত অভিযোগপত্রে কারও নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তবে রাজন্যা জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা চাইলে তিনি সম্ভাব্য অভিযুক্তদের নাম দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি পুলিশের কাছে তাঁর অনুরোধ ছবিগুলি সত্যিই এআই(AI) প্রযুক্তিতে বানানো কিনা, তা যাচাই করে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়া হোক এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তদন্তের প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাজন্যা।







