সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের ভিতর গণধর্ষণের ঘটনার এক মাস কাটতে না কাটতে, একই চিত্র দেখা গেল কলকাতার আরও একটি কলেজে। কসবা কাণ্ডের পর এবার IIM জোকার বয়েজ হস্টেলে ছাত্রী ধর্ষণের ভয়াবহ অভিযোগ উঠল। কলকাতার নামকরা এই ইনস্টিটিউশনের দ্বিতীয় বর্ষের এক ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার বিরুদ্ধেই অভিযোগ। তাকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ধৃত ছাত্রের নাম পরমানন্দ জৈন।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে ছাত্রীর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তিনি ওই কলেজর ছাত্রী নন। তরুণী অভিযুক্তের পরিচিত। কিছুদিন আগেই তাদের আলাপ হয়। কাউন্সেলিং সেশনের জন্য ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত আইআইএমে(IIM) ডেকে পাঠায়। কিন্তু কাউন্সেলিংয়ের জায়গায় না গিয়ে বয়েজ হস্টেলে নিজের রুমে নিয়ে যায় জরুরি নথি নেওয়ার অজুহাতে। সেখানে পিৎজা ও কোল্ড ড্রিংক খেতে দেয়। সেগুলি খাওয়ার পরই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তরুণী। এরপরই তাকে ধর্ষণ করা হয়। তরুণী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়েছিল ওই যুবক।
নির্যাতিতার বয়ান অনুসারে, তিনি পুরো সময় আচ্ছন্ন পরিস্থিতিতে ছিলেন। যখন সম্বিৎ ফেরে, দেখেন বয়েজ হস্টেলে পড়ে রয়েছেন তিনি। এরপর নির্যাতিতা প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় যান, সেখান থেকে তাকে হরিদেবপুর থানায় যেতে বলা হয়। শুক্রবার হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এরপর পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এমনকী বয়েজ হস্টেলে ঢোকার পর সেখানে ভিজিটর্স বুকেও সই করতে দেওয়া হয়নি বলে তরুণীর অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। IIM জোকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছে তারা। তারপরই গ্রেফতার করা হয় ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়াকে।
শিক্ষাক্ষেত্রে এভাবে একের পর এক ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে— স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ছাত্রীরা কতটা সুরক্ষিত? নারী সুরক্ষার প্রশ্নে, শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে সাম্প্রতিক অতীতে কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের মতো একাধিক ছাত্রনেতার নাম সামনে আসায়, বেশ বিড়ম্বিত শাসক দলের ছাত্র সংগঠনও।







