প্যারালাল নিউজ ডেস্ক :- দক্ষিণে ভাঙড় আর উত্তরে মালদহে এক রাতের খুন হন দুই তৃণমূল নেতা। রাজ্জাক খান ও আবুল কালাম আজাদ। ভাঙ্গরের চালতাবেরিয়া অঞ্চল সভাপতি রাজ্জাক খান খুন হন চক মরিচায়। অপরদিকে আরেক তৃণমূল নেতা মালদার আবুল কালাম আজাদ খুন হন ইংরেজবাজার থানার লক্ষীপুর এলাকায় একটি জন্মদিনের পার্টিতে এসে। মালদার ঘটনায় আপাতত স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তার দলবল জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ অন্যদিকে ভাঙ্গরের ঘটনায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তবে দুই ঘটনার জন্য নাম না করে বিজেপিকেই দায়ী করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
শুক্রবার বহরমপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল খুনে বিশ্বাস করে না। আমাদের আত্মত্যাগে মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষ আমাদের ক্ষমতায় এনেছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বদলা নয়, বদল চাই। নতুন বাংলা গড়তে চাই। কিন্তু যে দলটা ধর্মীয় উসকানি দিয়ে গুজরাটের মতো হিংসা করছে। ভয়াবহ হিংসার সংস্কৃতি আনার চেষ্টা করছে। বাংলা হিংসা বিশ্বাস করে না। আমাদের বাংলা চৈতন্যর বাংলা। আমরা বলি মেরেছো কলসির কানা, তা বলে কি প্রেম দেব না?”
তবে এই দুটি খুনের ক্ষেত্রে কোথাও বিজেপি যোগ না থাকলেও উল্টে তৃনমূল এর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার হাওড়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” এটাই তৃণমূলের শেষ পরিণতি। আর এই কোন ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়িত থাকার কোন বিষয় নয় নিজেরা নিজেদের মারছে নিজেরাই মরছে আর দোষ দিচ্ছে বিজেপির ঘাড়ে।”







