গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে ডিএ (DA) মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত ছিল। আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এ বিষয়ে কারও কোনও নতুন বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে পারে। সেই মতো ডিএ (DA) সুপ্রিম কোর্টে লিখিত আকারে নিজেদের অবস্থান পেশ করল রাজ্য। সোমবার শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ডিএ (DA) দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন রাজ্য কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সকে মান্যতা দেয়, আদালত তা জানতে চেয়েছিল— সেই মতো রাজ্য তাদের অবস্থান লিখিত আকারে পেশ করল।
যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বলের পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী করুণা নন্দী জানান, তাঁরাও পাল্টা তাঁদের বক্তব্য জানাবেন। তবে শীর্ষ আদালত এদিন আবারও জানিয়ে দেন, যার যা বক্তব্য তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জানাতে হবে। তারপর আর কোনও বক্তব্য শোনা হবে না।
যদিও সুপ্রিম কোর্ট আগেই রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ (DA)-এর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে। তার জন্য দেড় মাস বা ৬ সপ্তাহের কাছাকাছি রাজ্যকে সময়ও দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই সময়ের মধ্যে সরকারী কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ (DA) মেটাতে পারেনি। উপরন্তু তারা শীর্ষ আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে আর্জি জানায়। সেই মামলারই শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ (DA) নিয়ে রাজ্যের উপরে কোনও ধরনের শর্ত আরোপ করতে পারে না। রাজ্য তার নিজের মতো করে ডিএ (DA) দেবে, কেন্দ্র দেবে কেন্দ্রের মতো। যদিও কপিল সিব্বলের পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী জানান, কোনও রাজ্য তার নিজের ইচ্ছেমতো ডিএ (DA) দিতে পারে না। রাজ্যকে অবশ্যই বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ডিএ (DA) দিতে হবে। এখন দেখার এই বিষয়ে শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়।







