রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বেশ তৎপর হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এমনকী এই আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় একান্ত বৈঠকও সারেন ট্রাম্প। সেই বৈঠকের পর এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আপাতত গোটা বিশ্ব সেদিকেই তাকিয়ে আছে। এরই মধ্যে ভারত-পাকিস্তান নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন সদ্য নিযুক্ত হওয়া মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও। ভারত-পাকিস্তানের উপর ট্রাম্প সরকার নজরদারি চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন সচিব বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুদ্ধবিরতির পরের জটিলতাগুলি তুলে ধরেন। আর সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি টেনে আনেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা। মার্কো রুবিও বলেছেন, “আমি মনে করি আমরা খুবই ভাগ্যবান এবং ধন্য। আমাদের এমন একজন রাষ্ট্রপতি পেয়ে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, যিনি শান্তি এবং শান্তি অর্জনকে তার প্রশাসনের অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরেছেন। আমরা কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রে এটি দেখেছি। আমরা ভারত-পাকিস্তানে এটি দেখেছি।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, “শুধু সংঘর্ষ বিরতিতে গেলেই হল না। সেটাকে ঠিকঠাক ভাবে ধরে রাখাটাও কঠিন ব্যাপার। আমরা তাই প্রতিদিন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে, কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে কী ঘটছে তার উপর নজর রাখি।”
সব মিলিয়ে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি স্থাপন নিয়ে ট্রাম্প স্তূতির সুরই ধরা পড়ল মার্কিন বিদেশ সচিবের গলায়। যদিও ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি বিষয়ে ভারত সরকারের তরফ থেকে আগেই স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, কারও মধ্যস্থতাতে নয়, বরং পাকিস্তান ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বলেই ভারত তা গ্রহণ করেছে। এমনকী সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছেন,”বিশ্বের কোনও নেতাই ‘অপারেশন সিঁদুর’ বন্ধ করতে বলেননি।” তার পরেও মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর এই ধরনের মন্তব্যে ভারত কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটাই দেখার।







