পুজোর চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি। ইলমবাজারে(ilambazar) টোটো ইউনিয়নের(Toto) বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠছে। টোটো ইউনিয়নের(TOTO Union) দাবী মতো চাঁদা না পাওয়ায় নাকি এক বহুজাতিক মল ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত টোটো চালকদের। আর সেই ঘটনা ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও টোটো চালকরা(Toto Drivers) চাঁদা না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা হয়েছে তা মানতে নারাজ। তাদের সাফ জবাব ইউনিয়নের কথায় সরকারি জায়গায় টোটো রাখা হয়েছে। এরসঙ্গে নাকি চাঁদার কোনওরকম সংযোগ নেই। এই নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
অভিযোগ, দুর্গাপুজোর(Durga Puja) চাঁদা না দেওয়াতেই টোটো ইউনিয়নের সদস্যরা সকাল থেকে ওই শপিংমলের(Shopping Mall) সামনে টোটো দাঁড় করিয়ে ঘেরাও করে রাখে। ঘটনাটি ঘটে ইলামবাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়, যেখানে প্রতিবছরই একটি বড় দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়।
সূত্রের খবর, স্থানীয় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে শপিংমল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় এক লক্ষ টাকারও বেশি চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই অর্থ না দেওয়াতেই শুক্রবার সকালে দেখা যায়, মলের সামনেই সারি সারি টোটো দাঁড় করিয়ে রেখেছেন টোটো ইউনিয়নের সদস্যরা।
টোটো চালকদের(Toto Drivers) একাংশ জানিয়েছেন, “ইউনিয়নের নির্দেশেই আমরা টোটো দাঁড় করিয়েছি।” তবে ইউনিয়ন নেতৃত্বের দাবি, “মলের সামনের জায়গাটি পিডব্লিউডি-র জমি। সেখানে টোটো দাঁড় করানো আইনসিদ্ধ। চাঁদা নিয়ে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই।”
অন্যদিকে শপিংমল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, “কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমরা জানি না। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।”
ইলামবাজারের বিডিও জানান, “এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রশাসন বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখবে।”
বিরোধী দলের অভিযোগ, “ইলামবাজার ব্লকজুড়ে জোর করে দুর্গাপুজোর চাঁদা তোলা হচ্ছে। শপিংমল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মল ঘেরাও করে রেখেছে টোটো ইউনিয়ন।” তাঁদের দাবি, এই ঘটনার ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, এই ধরনের ঘটনায় বহুজাতিক সংস্থাগুলি ভবিষ্যতে এলাকায় বিনিয়োগে অনীহা দেখাতে পারে। ফলে কর্মসংস্থানের ওপরও পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
ইলামবাজারের এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। এখন নজর প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে — কত দ্রুত সত্যতা যাচাই করে পরিস্থিতি সামাল দেয়, সেটাই দেখার।







