প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন

শেষ হল একটা অধ্যায়। দেশের আদিবাসী আন্দোলনের একটা ইতিহাস যেন শেষ হয়ে গেল। প্রয়াত হলেন শিবু সোরেন। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সোমবার সকালে দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। দেশের রাজনীতিতে তিনি ‘গুরুজী’ বলে পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ্যে নিজের বাবার মৃত্যুর খবর সামনে এনেছেন। প্রসঙ্গত, কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে জুনের শেষ সপ্তাহে শিবু সোরেন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর ৮১ বছর বয়সে সোমবার মৃত্যু হল তাঁর। ছেলে হেমন্ত লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিশোম গুরুজি আজ আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেছি…’ সোমবার সকাল ৮ টা ৫৬ মিনিটে প্রয়াত হন শিবু সোরেন। প্রায় এক মাস ধরে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে ছিলেন। উল্লেখ্য, গতকালই জানা গিয়েছিল শিবু সোরেনের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। এই খবর পেয়ে রবিবারই স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড তথা জাতীয় রাজনীতিতে শিবু সোরেন এক উল্লেখযোগ্য নাম। আদিবাসী এই নেতা ৩৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ৮ বার লোকসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সামলেছেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। তিনবার রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তিনি। ঝাড়খণ্ড রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শিবু। জাতীয় রাজনীতিতেও তাঁর প্রভাব কিছু কম ছিল না। রাজ্যের মানুষের কাছে শিবু সোরেন ছিলেন দিশোম গুরু (দেশের গুরু)।