আইআইএম জোকা ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বাড়ছে রহস্য

গত ১১ জুলাই রাতে আইআইএম(IIM) হোস্টেলে কাউন্সেলিংয়ের নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক তরুণী। এরপর ওই তরুণী হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ জানানোয় গ্রেফতার করা হয় ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়াকে। যদিও ঘটনার পরের দিন নির্যাতিতার বাবা দাবি করেন ওই দিন ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রটি তাঁর মেয়ের পূর্ব পরিচিত। তাঁর মেয়ে একটি ছোট দুর্ঘটনার কারণে পায়ে ব্যথা পায়, ফলে ওই ছাত্রটিই তাকে তার হোস্টেলে নিয়ে যায়। এমনকী ওইদিন নির্যাতিতার বাবা পাল্টা অভিযোগ করেন, হরিদেবপুর থানাই বরং তাঁর মেয়েকে দিয়ে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা লিখিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠলেও নির্যাতিতা তরুণী মেডিকেল টেস্ট করাতে রাজি হয়নি। এবার পর পর দুদিন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে গরহাজির থাকায় জোকাকাণ্ড নিয়ে রহস্য ক্রমশই আরও বাড়ছে। আইআইএম জোকা ধর্ষণকাণ্ডে গত সোমবার এবং মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে নির্যাতিতা তরুণীর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। এরপর গত শুক্রবার মেয়েটিকে গোপন জবানবন্দির জন্য আবারও ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু এ দিনও তিনি গরহাজির ছিলেন। এই তিন তিনদিন তরুণীর অনুপস্থিতি নিয়ে এই কেসে ধোঁয়াশা ক্রমশই বাড়ছে। অন্যদিকে শনিবার অভিযুক্ত পড়ুয়ার পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই আজ তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। সেক্ষেত্রে নির্যাতিতা তরুণী যদি এভাবে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে এই কেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। যদিও এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বিরোধীরা প্রায় একযোগে শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আসছে। তাদের অভিযোগ, সম্পূর্ণ ভয় দেখিয়ে প্রকৃত সত্য আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার অচলায়তন নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন বিরোধীরা। তাদের আরও অভিযোগ, শাসক দলের মদতেই নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।