জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল

এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল। বুধবার ভোরে হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায় অনুভূত হয় এই কম্পন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS)-র রিপোর্ট জানাচ্ছে, আজ ভোর ৩টা ২৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩.৩। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর ভোর ৪টা ৩৯ মিনিটে ৪.০ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রথম কম্পন ভোরের দিকে হওয়ায় অনেকেই প্রথমটায় বুঝে উঠতে পারেননি। যেহেতু প্রথম কম্পনের তীব্রতা কিছুটা কম ছিল, তাই ঘুমের মধ্যে অনেকেই তা অনুভব করতে পারেননি। কিন্তু প্রথম ভূমিকম্পের অনুভূতি বুঝে ওঠার আগেই, দ্বিতীয়বার কেঁপে ওঠে হিমাচল। দ্বিতীয়বারের কম্পনও প্রথম বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পেয়ে যান স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এনসিএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল চাম্বায়, ৩২.৮৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৬.০৯ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। যদিও এর ফলে চাম্বায় এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে। যেকোনও ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা তৎপর হয়ে উঠবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হিমাচল বিপর্যয়ের মুখে পড়ল। সাম্প্রতিক সময়ে কুলুর লাঘাটি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল হিমাচলে। তবে এক্ষেত্রে চাম্বায় এখনও তেমন ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। তবে এবছর অতি বৃষ্টির কারণেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছে হিমাচল। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একটি রিপোর্ট অনুসারে, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সেখানে। এর মধ্যে ধ্বস, বন্যা, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি, উদ্যানপালন এবং পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজও। সব মিলিয়ে এবারের বর্ষা হিমাচল প্রদেশের অর্থনীতিতে খুব বড় প্রভাব ফেলেছে।