দিনহাটায় আক্রান্ত নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পৌঁছল বিজেপির প্রতিনিধি দল

গত বৃহস্পতিবার দিনহাটার নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চার বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা যূথিকা বর্মণ, বিজেপির ৬ নম্বর মণ্ডল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মোলিনা বর্মণ, বিজেপি কর্মী জিতেন্দ্র নাথ বর্মণ, বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তরণীকান্ত বর্মণের বাড়ি। এমনকী মারধর করা হয় এক গর্ভবতী মহিলাকে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে অন্তসত্তাকে দিনহাটা থেকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মদনমোহন বর্মণের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতিরা। এবার আক্রান্ত দিনহাটায় শালমারায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পৌঁছাল বিজেপির বিধায়ক ও প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা, মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মণ এবং রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা। শুক্রবার তারা আক্রান্ত বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন। কথা বলেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভার দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার চিৎকার করছেন বাঙালি আক্রান্ত হচ্ছে বলে। কিন্তু দিনহাটায় আক্রান্ত এই হতদরিদ্র পরিবারগুলি কি বাঙালি নন। তাহলে শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে কেন তাদের উপর অত্যাচার করা হল? কেন তাদের ভাড়িঘর ভাঙচুর করা হল। অন্যদিকে ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণও এই ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে এমনটা ঘটে না। এই ছবি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই দেখা যায়। পাশাপাশি আক্রান্ত পরিবারগুলিও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।