অশান্তির জের! ছেলে বর্ডারে রেখে পালাল বাবা

বাবা-মায়ের অশান্তির জেরে অসহায় ১০ বছরের তমাল ঘোষ। নিজের সন্তানকে রাতের অন্ধকারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছেড়ে পালাল বাবা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এাকার লোকজনের নজর পড়ার পরই অবশ্য শিশুটিকে উদ্ধার করেছে বসিরহাচ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বসিরহাট থানার পুলিশ। এমন ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাতের অন্ধকারে একজন বাবা কীভাবে তাঁর সন্তানের সঙ্গে এমনটা করতে পারে তা নিয়েও উঠেছে নান প্রশ্ন। রাত্রি বেলা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ বর্ষীয় তমাল ঘোষকে ছেড়ে দিয়ে চলে যান বাবা পিন্টু ঘোষ। তাঁর কান্নাকাটির শব্দেই ছুটি এসেছিলেন এলাকাবাসীরা। আপাতত পুলিশের কাছেই রয়েছেন সেই বাচ্চাটি। কিন্ত কেন এমনটা করা হয়েছে, তা নিয়ে খোঁজখবর নিতেই বেড়িয়ে আসছে অন্য তথ্য। শোনাযাচ্ছে পিন্টু ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝামেলার জন্যই নাকি এমনটা হয়েছে। তমাল ঘোষ, বয়স ১০ বছর, চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে । মঙ্গলবার রাতে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা প্রসন্ন কাটি এলাকায় তাকে জামাকাপড় সহ ছেড়ে দিয়ে চলে যায় তার বাবা পিন্টু ঘোষ । অন্ধকার এলাকায় বাচ্চাটি কান্নাকাটি শুনতে পায় এলাকার মানুষ । তারা এসে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে এবং তাকে খাইয়ে-দাইয়ে সান্ত্বনা দিয়ে শান্ত করায় । এবং পরে বসিরহাট থানায় খবর দিলে বসিরহাট থানার পুলিশ গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে । বাবা ও মায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে পুলিশের পক্ষ থেকে । জানা গেছে বাচ্চাটির বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার কাঠপোল এলাকায়। তার মা মাধবী ঘোষ এর সাথে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাবা পিন্টু ঘোষের সাথে ঝামেলা হতো। সেই ঝামেলা ছাড়াছাড়ির পর্যায় চলে যায় । সন্তান তোমাল ঘোষকে শশুর বাড়িতে রেখে মা মাধবী ঘোষ তার বাপের বাড়িতে চলে যায় । মাত্র কয়েকটা দিন কাটতে না কাটতেই বাবা পিন্টু ঘোষ বাচ্চাটিকে নিয়ে তার মায়ের কাছে দিতে যায়। কিন্তু মা নিতে অস্বীকার করায় বাচ্চাটিকে মোটরসাইকেলে করে তুলে এনে বসিরহাটের সীমান্ত এলাকা প্রসন্নকাটি এলাকায় ছেড়ে চলে যায় । এরপর এলাকার মানুষ বসিরহাট থানায় খবর দিলে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। বাচ্চাটির কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে বাচ্চাদের বাবা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
আবারও হরিয়ানায় আটক বসিরহাটের পরিযায়ী শ্রমিক

আবার আক্রান্ত হলেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। তামিলনাড়ুর পর এবার হরিয়ানায় বাংলা বলায় বাংলাদেশী সন্দেহে আটক বসিরহাটের যুবক। বসিরহাট পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভ্যাবলার বাসিন্দা গফফার মণ্ডল। পরিযয়ী শ্রমিকের কাজ করতে গত ১৫ দিন আগে সে হরিয়ানায় যায়। সেখানেই বাংলা ভাষায় কথা বলায় বাংলাদেশী বলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তার পরিবারের। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পর তাকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাকে আটকে রাখার অভিযোগ ওখানকার স্থানীয় লোকজনের বিরুদ্ধে। হরিয়ানা থেকে গত তিন দিন আগে ১১ আগস্ট রাত্রি সাড়ে এগারোটার সময় তার শেষ ফোন এসেছিল স্ত্রীর মনোয়ারা বিবির কাছে। লুকিয়ে শৌচালয় থেকে ফোনে কাঁদতে কাঁদতে গফফার জানায়, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে বাংলা ভাষায় কথা বলায়। তারপর থেকে তার মোবাইলের ফোন সুইচ অফ। তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছে না তার পরিবার। স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে তার পরিবারের লোকজন। তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের পরিবারের সদস্য ফিরে আসে। ইতিমধ্যে বসিরহাট থানা এবং বসিরহাট পৌরসভার কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে গফফারের পরিবার। যাতে সুস্থ, স্বাভাবিক ও সসম্মানে গফফার মণ্ডল বাড়ি ফেরে তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তার পরিবার। স্ত্রী মনোয়ারা বিবি বলেন, “আমার স্বামীর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, এটিএম ও প্যান কার্ড সহ উপযুক্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে দেখালে তারা মানতে চায়নি। আমাদের আবেদন আমার স্বামী যেন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসে।”