অভিষেকের থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বড় রাজনীতিবিদ। উত্তরে দাঁড়িয়ে এভাবেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত প্রশংসা করতে শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। সোমবার দলীয় সাংসদদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই লোকসভার দলীয় সাংসদদের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লোকসভায় দল পরিচালনার বিষয়ে তিনি যে আদৌ খুশি নন, ওই বৈঠকেই তা স্পষ্ট করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা হিসেবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেন। তবে লোকসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষোভ থাকলেও শেষ পর্যন্ত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই বর্তায় মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব। তবে সেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে সঙ্গে সঙ্গেই সেই পদ ছেড়ে দেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। এখানেই থেমে থাকেননি, দলের এমনকী দলনেত্রীর বিরুদ্ধে পর্যন্ত মুখ খোলেন তিনি। আর এই মুহূর্তে ‘বিদ্রোহী’ কল্যাণের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতাকে। মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষিত মানুষ। এটা ঠিক মাঝে মাঝে উনার ভাষা নিয়ে কিছু সমস্যা হয়, কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করা ঠিক না। রাজনীতিবিদ হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনেক এগিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।” এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হেলিকপ্টার লিডার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। এদিনও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে একইভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, “ভাইপো ২০১১ সালের পর রাজনীতিতে এসেছে। ২০১১ সালে যখন আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সরকার বদল করি, তখন দিল্লি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভাইপোকে আমদানি করে। ওর একমাত্র পরিচয় যে ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো। ২০১১ সালের আগে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইনগতভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা বড় ভূমিকা আছে। সেটা অস্বীকার করা যাবে না।”







