১৬ জুলাই, ২০২৫: কলকাতার অন্যতম বিনোদন পার্কের মধ্যে অন্যতম নিক্কোপার্ক। কিন্তু বুধবার দুপুরে সেখানে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে হঠাৎই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নিক্কোপার্কের ওয়াটার পার্কে স্নান করার সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই যুবক। তিনি ওখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই যুবকের নাম রাহুল দাস। বছর ১৮-র ওই উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙা এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার রাহুল ও তার ৬জন বন্ধু মিলে নিক্কোপার্কে এসেছিল। সেখানেই দুপুর ১টা নাগাদ তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ওয়াটার পার্কে স্নান করতে নেমেছিল। তারপর আচমকাই রাহুল জ্ঞান হারায়। তারপর তার বন্ধুরা মিলে ধরাধরি করে যখন তাকে নায়গ্রা ফলস থেকে নামাচ্ছিল তখন নিক্কোপার্কের গার্ডরা ছুটে যান। পার্ক চত্বরেই আপতকালীন ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে তাকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যদিও রাহুলের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয় এবং স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে। নিক্কো পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ রায় সিঙ্ঘানিয়া দাবি করেছেন, পার্কের কোনও গাফিলতির কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, রাহুল হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান এবং পার্ক কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এখনও পর্যন্ত রাহুলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
নিক্কো পার্কের HR ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমিত দত্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, “চারজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে এসেছিল। তারা কলেজ পড়ুয়া বলেই মনে হয়েছে। নায়গ্রার ফার্স্ট ফ্লোরে ওরা শাওয়ার নিচ্ছিল। তখনই একজন ছেলের মাথা ঘোরে এবং সে বসে পড়ে। বন্ধুরা তাকে ধরে নামাচ্ছিল। আমাদের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যায়। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিই, কিন্তু তখন তার পালস খুবই কম ছিল, জ্ঞানও ছিল না। আমরা নিজেরাই অ্যাম্বুলেন্সে করে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।”
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। মৃত যুবকের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা জানতে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে আকস্মিক এমন ঘটনার জেরে গোটা নিক্কোপার্ক জুড়ে সাময়িক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়ায়।







