ভারতের রপ্তানি করা পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রভাব যে শেয়ার মার্কেটে পড়বে, তা জানাই ছিল। শুক্রবার বাজার খোলার পর থেকে সেই ছবিই ধরা পড়ল। এক ধাক্কায় সেনসেক্স ও নিফটি৫০-র পয়েন্ট কমছে। এদিন সকাল ১০টা ৫ নাগাদ বাজার খুলতেই নিফটি ব্যাঙ্ক, নিফটি অটো, নিফটি পিএসইউ ব্য়াঙ্ক, নিফটি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, নিফটি মেটাল, নিফটি এনার্জি, নিফটি প্রাইভেট ব্য়াঙ্ক, নিফটি ইনফ্রা, নিফটি কমোডিটিজ, নিফটি কনজাম্পশন, নিফটি পিএসই, নিফটি সার্ভিসেস সেক্টর, নিফটি কনজিউমার ডিউরেবলস এবং নিফটি অয়েল অ্যান্ড গ্যাসের সূচক মতো একাধিক সূচক রেডজোনে চলে যায়। এদিন নিফটি মিডক্যাপ ১০০ এবং নিফটি স্মলক্যাপ ১০০-এর সূচক হ্রাস পেয়েছে।
যদিও বৃহস্পতিবারও এই ধরনের ঘটনাই ঘটেছিল। তবে বেলা গড়াতেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে গ্রাফ। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ও নিফটি৫০-র গ্রাফ ফের পজিটিভে পৌঁছেছিল। যা দেখে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত ছিল লগ্নিকারীরা। শুক্রবারও তেমন কিছুই আশা করছেন তারা। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই খামখেয়ালিপণার প্রভাব শুধু ভারতের উপর যে পড়বে তা নয়, এর দাম চোকাতে হতে পারে আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদেরও। কেননা ভারতের অর্থনীতি অনেক বেশি দেশীয় চাহিদা নির্ভর, এবং ইতিমধ্যেই বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন রফতানিকারীরা। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজারে যতটা প্রতিক্রিয়া আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ততটা বরং দেখা যায়নি। দেশের রফতানি, আর্থিক বৃদ্ধি যেখানে চোট খেতে পারে, সেখানে এটুকু ধাক্কা লাগা খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে করছেন তাঁরা। এমনকী ইক্যুইনমিক্স রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা জি চোক্কালিঙ্গমও মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি বৃদ্ধির ফলে ভারতের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়বে না। তার প্রধান কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, তা ভারতের মোট জিডিপি-র মাত্র ২ শতাংশ।







