গত শুক্রবার সিঙ্গুরের একটি নার্সিংহোমে এক নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে রীতিমত উত্তপ্ত হয় পরিবেশ। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, তাদের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। রাজ্যের হাসপাতালের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে মৃত নার্সের বাবা সুকুমার জানা বলেছিলেন, “আমি চাই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমার মেয়ের ময়নাতদন্ত হোক। আমরা চেয়েছিলাম কেন্দ্রীয় হাসপাতালে দেহটি পরীক্ষা হোক, কিন্তু পুলিশ আমাদের কিছু না জানিয়ে জোর করে দেহ নিয়ে গিয়েছে।”
এরপরেই গোটা ঘটনা ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। শুক্রবার দুপুরে মৃতদেহ মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছনোর পর পরই বিজেপি ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা সেখানে হাজির হয়। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি। পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, সিপিএম ও বিজেপি লাশ দখলের রাজনীতি করছে বলেই অভিযোগ করেন। পাশাপাশি এই ঘটনার প্রকৃত সত্য অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের কাছে আর্জি জানান।
এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, “পরিবার যেখানে চাইবেন, দেহ সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে। তবে যেহেতু অস্বাভাবিক মৃত্যু, আদালতের অনুমতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
প্রয়োজনীয় অনুমতির পর অবশেষে পরিবারের দাবি মেনেই শনিবার ভোর ৭টা ২০ নাগাদ ওই নার্সের মরদেহ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রিন করিডোর করে কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পরই ওই নার্সের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।







