বীরভূমে হঠাৎই অস্বস্তিতে তৃণমূল(TMC)। তৃণমূল কাউন্সিলরের(TMC Councellor) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য। রামপুরহাটের(Rampurhat) তৃণমূলের কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউ ওরফে টিংকুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নাকি এক তরুণীকে অববাহিত হতে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলেই অভিযোগ এই তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
কিন্তু এরপরও প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূলের এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়া সত্ত্বেও কেমনভাবে তিনি দলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকেন তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। শোনাযাচ্ছে সেই তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার ফলে তিনি নাকি গর্ভবতীও হয়ে পড়েন এবং সন্তানেরও নাকি জন্ম দেন বলে অভিযোগ।
অভিযুক্তের নাম প্রিয়নাথ সাউ ওরফে টিংকু। তিনি রামপুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের দু’বারের কাউন্সিলর এবং দলের টাউন কমিটির সহ-সভাপতি। নির্যাতিতা তরুণী রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে ধর্ষণ, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির কথা উল্লেখ আছে।
তরুণীর দাবি, ২০১৫ সালে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে প্রিয়নাথ সাউয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ভোটার কার্ডের কাজে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তিনি তরুণীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন এবং পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিয়নাথ সাউ। তিনি দাবি করেছেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে দেখা যায় রামপুরহাটের তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে দলের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার ও রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এদিকে, রামপুরহাট থানা সূত্রে জানা গেছে— তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে মামলা রুজু হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রামপুরহাট ও আশপাশের এলাকায়।







