সিএএ-তে(CAA) আবেদন করে নাগরিকত্ব পেতেই মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাসের(Pramatha Ranjan Biswas)। ২০০৯ সালে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন ডাক কর্মী প্রমথ রঞ্জন(Pramatha Ranjan Biswas)। বাগদার হেলেঞ্চা বৈঁচিডাঙাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন তিনি। গতবছরই সিএএ-র কথা পাকাপাকি ভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের তরফে। এরপরই ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল নানান জল্পনা, গুঞ্জন। সিএএ-কে(CAA) হাতিয়ার করে বিরোধীরা আন্দোলনেও সরব হয়েছিলেন। সিএএ-র(CAA) পদ্ধতি নিয়ে উঠছিল প্রশ্নও। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিসন্ধির কথাই শোনা গিয়েছিল তৃণমূল থেকে কংগ্রেস(TMC) সহ সমস্ত বিরোধী দলগুলোর মুখে। সেই পরিস্থিতিতেই প্রমথ রঞ্জনের নাগরিকত্ব পাওয়াটা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে(BJP) বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই মুহূর্তে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলার রাজনীতি বেশ সরগরম। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে। সেই পরিস্থিতিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রমথ রঞ্জনের সিএএ(CAA) আবেদনে নাগরিকত্ব পাওয়াটা বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও এই তৃণমূল কিন্তু এতে অন্য গন্ধই পাচ্ছে। তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বেছে বেছে সিএএ-র আবেদনে নাগরিকত্ব দেওয়ার। গিমিকের কথাও শোনা যাচ্ছে তাদের মুখে।
যদিও সদ্য নাগরিকত্ব পাওয়া প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস কিন্তু অত্যন্ত খুশি নাগরিকত্ব পেয়ে। ভয় থেকে মুক্ত হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায়কেও বার্তা দিচ্ছেন প্রমথ রঞ্জন। তিনি জানিয়েছেন, “মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে সিএএ নিয়ে। আমি কারোর কথায় কান না দিয়ে সিএএ তে আবেদন করে কোন রকম হয়রানি ছাড়া সার্টিফিকেট পেয়েছি। আমার কোনও ভাতা বা সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়নি।” একই সঙ্গে তিনি সকল মতুয়াদের বার্তা দিয়ে বলেন, “কারো কোন কথায় কান না দিয়ে সিএএতে আবেদন করুন।”
তবে তৃণমূল কিন্তু এই ঘটনাকে একেবারে সোজা চোখে দেখছে না। বরং এই পিছনে কোনওরকম গিমিক থাকার কথা একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছে না তারা। বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। কেন্দ্র সরকার কিভাবে নাগরিকত্ব দিয়েছেন সেটা তারাই বলতে পারবেন।” একই সঙ্গে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “অনেকেই তো সিএএ তে আবেদন করছে, তাহলে দেখে শুনে দু একজনকে কেন দেওয়া হচ্ছে? এটা কোনও গিমিক নয় তো?”
অন্যদিকে পিছিয়ে থাকতে নারাজ বিজেপিও। তৃণমূলের বক্তব্যের পাল্টা বলতে শুরু করেছেন তারাও। তাদের মতে এই ঘটনাই নাকি তৃণমূলের ভুল বোঝানোর সমস্ত জবাব। বিজেপি নেতা বিধানচন্দ্র হাওলাদার বলেন, “তৃণমূল মানুষকে সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। প্রমথ রঞ্জন বাবু আবেদন করে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সামনে বিধানসভা নির্বাচনে সিএএ এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেলে মতুয়ারা আর তৃণমূলে ভোট দেবে না। সেই কারণে তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।”
সিএএ-তে আবেদন করে প্রমথ রঞ্জন নাগরুকত্ব পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মন থেকে কি সিএএ নিয়ে ধন্দ এখনও কাটল। প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।







