গত সপ্তাহেই মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে বঙ্গ সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি দমদমে রাজনৈতিক সভাও করেন তিনি। আবারও পুজোর আগেই নরেন্দ্র মোদীর বাংলায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও পুজোর আগেই দু বার বঙ্গ সফর করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। অতএব ২৬শে বিধানসভা ভোটকে যে পাখির চোখ করতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তা স্পষ্ট।
গত সপ্তাহে দমদমে ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভা থেকে তৃণমূলকে সরাসরি নিশানা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিকে সামনে রেখে তাদের উৎখাতের জন্য বঙ্গবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাহাত্ম্যকে তুলে ধরে নতুন বাংলা গড়ার আহ্বান জানান মোদী। তাঁর কথায় উঠে আসে বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’র সেই জনপ্রিয় সংলাপ ‘দাদা, আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম’। সবকিছু ঠিক থাকলে পুজোর আগেই অর্থাৎ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ওই নদিয়ার নবদ্বীপে একটি প্রশাসনিক সভার পাশাপাশি রাজনৈতিক সভাও করার কথা তাঁর।
যদিও মোদীর বঙ্গ সফরের আগেই বাংলায় জোড়া সভা করার কথা অমিত শাহর। আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির ‘পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন’ হওয়ার কথা। সেখানেই প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা অমিত শাহর। যদিও কোথায় এই সভা হবে তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। কেননা ১১ হাজার দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে একসঙ্গে কোথায় জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে এখনও আলোচনা চলছে। তবে এই সভা ছাড়াও পুজোর আগে আরও একবার বাংলায় আসবেন অমিত শাহ। মহালয়ার পরের দিন, অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করার কথা তাঁর। বিজেপি কাউন্সিল সজল ঘোষের পুজো বলে পরিচিত এটি। যদিও এই পুজোর উদ্বোধনে আগেও এসেছেন অমিত শাহ। ওইদিনই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অংশ নেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। দু’বছর পরে ওই পুজোর আবার আয়োজন হচ্ছে ইজেডসিসিতে।
সব মিলিয়ে বাংলায় বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই বিজেপির কেন্দ্রীয় যে পশ্চিমবঙ্গকে হোম টাউন বানিয়ে ফেলবে, সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কেননা বছর ঘুরলেই বঙ্গে বিধানসভা ভোট। যদিও তার আগেই রয়েছে বিহারের নির্বাচন। অতএব বিহারের নির্বাচন মিটলে যে বাংলায় বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের যাতায়াত আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। কেননা বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে যে মরিয়া বিজেপি তা মোদী-শাহর ঘন ঘন বঙ্গ সফর থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।







