বসিরহাটের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল যেন মশাবাহিত রোগের আঁতুড়ঘর। মশা বাহিত রোগে আতঙ্কিত রোগী সহ রোগীর আত্মীয়-পরিজনরাও। বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের দশটি ব্লক সহ তিনটি পৌরসভার স্বাস্থ্যের মূল ভরসা বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। যার উপর নির্ভরশীল এলাকার প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ। সেই হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশি সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে আট থেকে আশি রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। আর সেখানেই দেখা গেল নোংরা আবর্জনা ছবি। হাসপাতালের বাইরে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। হাসপাতালের গেটের পাশে থার্মোকলের বড় বড় বাক্সে বর্ষার জল জমে তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা। তা থেকেই সাধারণত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মশাবাহিত রোগ যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি। হাসপাতালের তরফ থেকে যেসব বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছিল তার আশপাশে জল জমে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। এমনিতেই শহরে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তার উপর খোদ হাসপাতালেই যদি এমন পরিবেশ হয় তাহলে রোগীর পরিবারের আতঙ্ক বাড়াটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার জন্য তা থেকে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। মোটের উপর একেবারেই অস্বাস্থ্যকর।
পুরো বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্যরা পুরো দোষটাই চাপিয়ে দিলেন বর্ষার উপরে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলামের বক্তব্য, “প্রতিনিয়ত আমাদের হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এখন বর্ষার সময় দু-এক জায়গায় জল জমে থাকতেও পারে। তবে পৌরসভার কর্মীরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গি জ্বরের প্রকোপ একটু বেশি থাকলেও আমরা পুরোপুরি কন্ট্রোলে রেখে দিয়েছি।”
বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বুরহানুল মুকাদ্দিম এদিন হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং পরিষেবা নিয়ে। তবে হাসপাতালের এই নোংরা পরিবেশ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। তবু বাধ্য হয়ে চিকিৎসা করাতে আসতে হচ্ছে হাসপাতালে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে হাসপাতালের চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করুক পুরসভা।







