‘নো মোর ব্যাক বেঞ্চার’—অর্থাৎ আর কেউ পিছিয়ে নেই। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীরা যতই টিপ্পুনি কাটুক না কেন, রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এই অভিনব ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে এবার এগিয়ে এল মালদা শহরের অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ। যার অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার মালদার এই স্কুল কর্তৃপক্ষ গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্রদের ক্লাস নিলেন শিক্ষা দপ্তরের নতুন ভাবনা অনুযায়ী। ক্লাসঘরে বেঞ্চের পর বেঞ্চ সাজিয়ে নয়, বরং ক্লাসঘরে চৌকা ভাবে (অনেকটা ইংরেজি U আকৃতির মতো) ডেস্ক সাজিয়ে তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছাত্রদের ক্লাস নিলেন স্কুল শিক্ষক।
গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে একমাত্র কেরালার বেশ কিছু স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের এই ভাবে বসার ব্যবস্থা থাকলেও, বাংলায় এই প্রথম এ ধরনের ভাবনা বাস্তবায়িত হতে দেখা গেল— যা নিঃসন্দেহেই অভিনবত্বের দাবি রাখে। আর সেই কাজটাই এবার করে দেখাল মালদা শহরের এই স্কুল।
রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এই ভাবনা প্রসঙ্গে অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয়কৃষ্ণ রায় জানালেন, “ক্লাসঘরে যে সমস্ত ছাত্ররা পেছনের বেঞ্চে বসে তারা কিছুটা হীনমন্যতায় ভোগে। তাই সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রদের হীনমন্যতা দূর করতে শিক্ষা দপ্তর এই পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এইভাবে ক্লাস নিলে সমস্ত ছাত্রদের প্রতি সমানভাবে নজর দেওয়া সম্ভবপর হয়। এবং ক্লাসঘরের প্রথম বেঞ্চের সঙ্গে শেষ বেঞ্চের যে দূরত্ব, সেটা আর থাকে না। ফলে খুব সহজেই সকলকে পড়াশোনার বিষয়ে মনোযোগী করে তোলা সম্ভব।” সেই কারণেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এই ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে তারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে করে ছাত্ররা উপকৃত হবেন বলেই অভিমত প্রধান শিক্ষকের।







