দিল্লি থেকে মিজোরাম জুড়ে দিল নতুন রেলপথ। শনিবার আইজলে বৈরবি-সৈরাং এই নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আইজলের সিপাই লাম্মুয়ালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও, খারাপ আবহাওয়ার কারণে লেঙ্গপুই বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন এই রেলপথের। যদিও দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গলের কারণে এই রেলপথ তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মোটেও সহজ হয়নি। এই রেলপথ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীদের এদিন ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি ৫১.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বৈরবি-সৈরাং রেলপথ, মিজোরামের প্রথম রেলপথ। রেলপথ উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদী আইজল থেকে দিল্লি পর্যন্ত রাজধানী এক্সপ্রেস এবং সৈরাং থেকে গুয়াহাটি ও কলকাতা পর্যন্ত দু’টি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনেরও উদ্বোধন করেন। এই ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “মিজোরাম তো বটেই, গোটা দেশের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আজ থেকে ভারতীয় রেলের সঙ্গে যুক্ত হল আইজল। এই রেলপথ তৈরি হওয়ায় মিজোরামের জীবন ও জীবিকায় বড় পরিবর্তন আসবে।খুব সহজেই এখানকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারবে।”
পাশাপাশি এই রেলপথ তৈরি নিয়ে বিরোধীদেরও নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, ভারতের কিছু রাজনৈতিক দল শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যথা নেই। আর সে কারণেই মিজোরামে রেলপথ তৈরির কথা কারও মাথায় আসেনি। প্রায় দু-দশকের উপর চলছে এই রেলপথ তৈরির কাজ। এই গোটা রেলপথের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৪৮টি সুড়ঙ্গ। এছাড়া ৫৫টি বড় সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু রয়েছে এই লাইনের যাত্রাপথে। অবশেষে চলতি মাসের জুনে এই রেলপথে ট্রেন চলাচলের গ্রিন সিগনাল দেয় রেল সুরক্ষা কমিশন। আর শনিবার সেই রেলপথেরই উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।







