বিজেপি শাসিত ভিন রাজ্যে বাংলা ও বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদের যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সরব রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তখন এই ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস এবং সিপিআইএম নেতৃত্ব কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে। এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কার্যত আন্দোলনের ব্যাটন নিজের হাতে নিতে মরিয়া। সেখানে এই রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে সেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়নি। তবে শেষপর্যন্ত ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে একই দিনে পথে নামল বাম-কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে উৎকল ভবন ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। ওড়িশায় বাংলাভাষীদের হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করে তারা। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে এদিন উৎকল ভবনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করে কংগ্রেস। পরে ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল ওড়িশা উৎকল ভবনের ভিতর ডেপুটেশন জমা দেয়।
অন্যদিকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাংলার সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের শুধুমাত্র বাংলা বলার অপরাধে গ্রেফতার করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বারাসত জেলাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দিলেন সিআইটিইউ(CITU) কর্মী-সমর্থকরা। যদিও এদিন জেলাশাসক দফতরে প্রবেশের মুখে ব্যাপক পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয় সিআইটিইউ কর্মী-সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে পুলিশি ব্যারিকেড ধরে চলে সিআইটিইউ কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি। এমনকী পুলিশের সঙ্গে রীতিমত খণ্ডযুদ্ধও হয়। অবশেষে তাদের ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছায় জেলাশাসক দফতরে। সেখানে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ডেপুটেশনপত্র জমা দেন। এদিন কর্মসূচি শেষে সিআইটিইউ নেতা বরুণ ভট্টাচার্য পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “যথাযথ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও যেভাবে ভিন রাজ্যের আমাদের শ্রমিকরা নিগৃহীত হচ্ছে, তার প্রতিবাদে আমরা আজ শান্তিপূর্ণ ভাবেই জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করল, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ যেভাবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় তাতে ওদের মেরুদণ্ড বলে কিছু নেই। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামকে ওরা ভয় পায়। তাই এভাবে আচরণ করে আজ সেটাই বুঝিয়ে দিল তারা।”







