স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর(SIR) নিয়ে যখন গোটা বাংলায় কার্যত রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। তোলপাড় গোটা রাজ্য। ঠিক সেই সময় তাঁকে কিছু না জানিয়ে বিএলও(BLO)-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই যে বিএলওদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে সেকথা নাকি জানতেনই না বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এই সংক্রান্ত কোনো অনুমতি নাকি মুখ্য সচিবের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি বলে দাবি করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অর্থাৎ রাজ্যকে কার্যত ধোঁয়াশায় রেখেই এই বিএলও(BLO)-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
আর কেন সব জানা সত্ত্বেও রাজ্যকে কোনও তথ্য দেওয়া হল না? তা নিয়ে জেলাশাসকদের তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বিএলও(BLO)-দের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আপনারা বিএলও(BLO)-র যেসব লিস্ট করেছেন। আমার অনুরোধ থাকবে যাতে কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেন না যায় সেটা দেখবেন।” পাশাপাশি এই বিষয়ে তিনি বিএলও(BLO)-দের বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে তালিকা তৈরি করার করবে। যখন ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ হবে, তারপর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। তার আগে বা পরে নয়। মনে রাখবেন আপনারা রাজ্য সরকারি কর্মী। কোনও মানুষকে অযথা হেনস্তা করবেন না। দেখবেন যেন সাধারণ মানুষের হেনস্তা না হয়। যারা দীর্ঘদিন এই রাজ্যের ভোটার। চারদিন গেলেন, সে নেই। হয়তো বেড়াতে গিয়েছে। তা বলে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেবেন? আপনাকে দেখতে হবে তাঁর অস্তিত্ব আছে কিনা। চারদিকে যাঁরা বাংলা ভাষায় বলছে তাঁরা হেনস্তার শিকার হচ্ছে। এই মানুষগুলির পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে।” ইতিমধ্যেই, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিশন’। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০০৩ সালে বিহারে শেষবার এসআইআর হয়েছিল। যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটদানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতে এই সংশোধনী। বিহারের পরে এক এক করে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে। নজরুল মঞ্চে নদিয়া, দুই ২৪ পরগণা এবং মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে শতাধিক ব্লকের বিএলও(BLO)দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটাকে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।







