এসএসসি(SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত পিছু হটেছে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো ১ হাজার ৮০৪ জন অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা পেশ করা হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। পরে কমিশনের পক্ষ থেকে আরও দুজনের নাম সামনে আনা হয়। এরপরই রাজ্য জুড়ে হুলুস্থূল পড়ে যায়। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে নিযুক্ত ওই তালিকাভুক্ত অনেক ‘টেন্টেড’ই প্রশ্ন তুলেছিলেন এসএসসি প্রকাশিত ওই তালিকা নিয়ে। কী ভিত্তিতে ওই তালিকা প্রকাশিত হল, তাও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে। সে কারণেই এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত ওই ‘টেন্টেড’ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অযোগ্য শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে তাঁরা মামলার আবেদন করেছেন। তাঁদের যুক্তি এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে আদালতে একাধিকবার দাবি করা হয়েছিল যে, তাদের কাছে কোনও ওএমআর শিট নেই। সেক্ষেত্রে কী ভিত্তিতে অযোগ্য শিক্ষকদের বাছাই করে তালিকা তৈরি হল, সেই প্রশ্ন করেছেন একাধিক ‘টেন্টেড’ তালিকাভুক্ত ‘দাগি’ শিক্ষকরা। তবে রাজ্য সরকারের করা ক্যাভিয়েট ফাইল মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই চলছে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের ১৩ নম্বর কোর্টের ৫৬ নম্বর আইটেম হিসেবে রয়েছে মামলাটি। আজ অর্থাৎ সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, চলতি বছরে অনিয়মের কারণ দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি(SSC)-র ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল। যার জেরে রাতারাতি চাকরি গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। যা নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে যায় গোটা রাজ্য জুড়ে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। ফলে শীর্ষ আদালতের গাইড লাইন মেনে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু বাতিল হওয়া প্যানেলের ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা বার বারই ‘অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার ১৮০৬ জনের ‘টেন্টেড’ তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার সেই তালিকায় নাম থাকা ‘টেন্টেড’দের একটা অংশ এসএসসি-র তালিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন। এখন দেখার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়!







